আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। আপাতত ঠিক হয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন চলবে। তার আগে সর্বদলীয় বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপালের বিল আটকে রাখা নিয়ে আবারও সরব হলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, রাজ্যপালের উচিত ছিল বিলের বর্তমান অবস্থা বিধানসভাকে জানানো। কিন্তু, রাজ্যপাল সেটা না করে মিডিয়াকে জানানো উচিত হয়নি।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় দলের বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে ফতোয়া তৃণমূলের, একমঞ্চে কারা আসছেন?
বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বিএ কমিটি এবং সর্বদলীয় বৈঠক হয়। তারপরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালের তো উচিত ছিল বিলগুলির অবস্থা সম্পর্কে বিধানসভাকে জানানো। বিধানসভা থেকে বিলগুলি যাচ্ছে আর উনি সেটা মিডিয়াকে বলে দিলেই হয়ে গেল! মিডিয়া ওটা নিয়ে কী করবে! রাজ্যপালের উচিত ছিল বিধানসভাকে মর্যাদা দিয়ে বিষয়টি বিধানসভাকে জানানো। আমার মনে হয় ওনাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। সেই জন্য এরকম করেছেন উনি। আমার মনে হয় না রাজ্যপাল খুব খারাপ মানুষ। রাজ্যপালকে বোঝালেই উনি বোঝেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যপালের কাছে যে বিলগুলি পেন্ডিং রয়েছে সেই বিলের স্টেটাস রিপোর্ট ছাড়া আর কিছুই পাঠানো হয়নি। কোন বিল উনি প্রত্যাহার করেছেন? কোন বিলটা কাকে পাঠানো হয়েছে? কী অবস্থায় রয়েছে বিলগুলি? সেগুলি বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসেবে আমার কাছে আসা উচিত। কিন্তু, বিধানসভায় না পাঠালে তো আমার কিছু বলার নেই।’ একই সঙ্গে তিনি জানান রাজ্যপাল চাইলে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কোনও ভুল বোঝাবুঝি না থাকাটাই বাঞ্ছনীয়।
উল্লেখ্য, এবার বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সে প্রসঙ্গে বিধান সভার অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আইএসএফ দলের খাতায়-কলমে কোনও অস্তিত্ব নেই। তবে নির্বাচন কমিশন মজলিস পার্টিকে সার্টিফিকেট দিয়েছে তাই তাদের স্বীকৃতি আছে বলেই ধরে নিতে হবে। বিমান বন্দোপাধ্যায় আরও জানান, এবারের অধিবেশনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা হবে। তাই শান্তিপূর্ণভাবে যাতে আলোচনা হতে পারে সেজন্য তিনি সমস্ত রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের আবেদন জানিয়েছেন। তাছাড়া, এবারের বিধানসভায় যাতে সমস্ত বিধায়ক উপস্থিত থাকেন সেই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান স্পিকার। সেক্ষেত্রে বিধায়কদের হাজিরাটি প্রত্যেকটি অধিবেশনে বাধ্যতামূলক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, ২৮ তারিখে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা হবে। ২৯ তারিখে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি এবং ৩০ তারিখে মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে।