Stamp Duty: দেরি করবেন না! বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনলেই স্ট্যাম্প ডিউটিতে বড় ছাড়, সময়সীমা বাড়ল

স্ট্যাম্প ডিউটিতে কিছুটা সরকারি ছাড় থাকলে অনেকটা খরচ কমে যায়। সেক্ষেত্রে অনেকেই সেই সুযোগটা নিতে চান। কারণ পরে যদি সরকার স্ট্যাম্প ডিউটি বাড়িয়ে দেন সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না অনেকেই।

আবার স্ট্যাম্প ডিউটিতে বড় ছাড়( ছবিটি প্রতীকী (‌সৌজন্য ফেসবুক)‌

ফের স্ট্যাম্প ডিউটি স্বস্তি মিলবে বাংলায়। আগামী ৩০ জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলায় স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশনে ছাড় মিলবে। এনিয়ে ষষ্ঠবার স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশনে ছাড় দিল সরকার। প্রথমবার ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার। প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে ফের সেই ছাড় বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারের তরফে। এতে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাবেন অনেকেই।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে যারা নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে চলেছেন তাদের কাছে সরকারের এই নির্দেশ অত্যন্ত সুবিধা দেবে। এর আগে রিয়েল এস্টেট কনসালটেন্সি নাইট ফ্ল্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ২০২১ সালে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় ঘোষণার পর থেকে ১,০২,৭৪৩টি অ্য়াপার্টমেন্ট বুক হয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিটান এরিয়ায়। আর্থিক বছরে স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ সরকার আয় করেছিল ৭,৪৭৩ কোটি টাকা।

তবে অনেকের মতে, সরকারের ঘোষণার জেরে ফের বাড়ি কিনতে যারা আগ্রহী তাদের বাড়তি উৎসাহ দেবে। কারণ স্ট্যাম্প ডিউটিতে কিছুটা সরকারি ছাড় থাকলে অনেকটা খরচ কমে যায়। সেক্ষেত্রে অনেকেই সেই সুযোগটা নিতে চান। কারণ পরে যদি সরকার স্ট্যাম্প ডিউটি বাড়িয়ে দেন সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না অনেকেই। সেকারণেই এই ছাড় ঘোষণার পর থেকে হু হু করে বাড়ি কেনার প্রবণতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এর জেরে অত্যন্ত স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁরা। ফের স্বস্তি দিল সরকার।

এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশের সময় রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্ট্যাম্প ডিউটির ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় থাকবে বলে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন রাজ্যবাসী। এমনটা বলা হয়েছিল। সেই ছাড়ের সময়সীমা বাড়ল এবার। 

বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ এবং জমি–বাড়ির বাজার মূল্যের সার্কেল রেটের ১০ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সেই ছাড়ের সময় সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় অনেকেই স্বস্তি পাচ্ছেন। অন্তত কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে। আর এর জেরে ফ্ল্যাট বাড়ি কেনার প্রবণতাও বাড়তে পারে।