মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের কল সেন্টার তৈরিতে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করলেন, তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা IPACএর ঘনিষ্ঠ সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে বেআইনিভাবে শর্ত আরোপ করা হয়েছে টেন্ডারে। আর গোটাটাই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সহমতিতে। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলের কল সেন্টার তৈরির জন্য তথ্য প্রযুক্তি দফতরকে নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। তথ্য প্রযুক্তি সরকার রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ওয়েবেলকে টেন্ডার ডাকা নির্দেশ দেয়। সেই মতো টেন্ডারে অংশগ্রহণের শর্ত তৈরি করে টেন্ডার ডাকে ওয়েবেল। সেই টেন্ডার জেতে দিল্লির একটি সংস্থা।
শুভেন্দুবাবুর দাবি, এর পর ওয়েবেলকে টেন্ডার বাতিলের জন্য চাপ দিতে থাকে নবান্ন। কিন্তু ওয়েবেলের কর্তারা তাতে রাজি হননি। টেন্ডার বাতিল বেআইনি কাজ হবে বলে জানান তাঁরা। শুভেন্দুবাবু বলেন, এর পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের কাছ থেকে টেন্ডার ডাকার দায়িত্ব হোম পার দফতরকে দেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। এর পর WTL-কে টেন্ডার ডাকার দায়িত্ব দেয় হোম পার দফতর। দায়িত্ব পেয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের নতুন শর্ত আরোপ করে WTL. তারা জানায়, টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে গেলে কলকাতায় অন্তত ২০০ আসনের কল সেন্টার স্থাপনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। শুভেন্দুবাবুর দাবি, এর ফলে ১৫২ কোটি টাকার টেন্ডারটি জেতে IPAC-এর ঘনিষ্ঠ একটি সংস্থা।
শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, টেন্ডার জিতেই ৩৫০ জন কর্মী নিয়োগ করে সংস্থাটি। আর এরা প্রত্যেকেই IPAC-এর কর্মী। রাজ্য সরকারের কাজের পাশাপাশি তৃণমূলের হয়েও কাজ করে এরা। এমনকী পঞ্চায়েতে আসন্ন বোর্ড গঠনে এরাই নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষের করের টাকায় সাধারণ মানুষকেই ভুল বোঝাতে ছেলে- মেয়েদের নিয়োগ করছে IPAC. এই অভিযোগের সমর্থনে সমস্ত নথি তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। জানান, এই নথি কয়েকজন IAS আধিকারিক তাঁকে দিয়েছেন। বেশ কিছু নথি সংবাদমাধ্যমের হাতেও তুলে দেন তিনি।