বিজেপির চিন্তন বৈঠকেই ছন্দপতন। এখানে একের পর এক নির্বাচনের হারের পর্যালোচনা করার কথা ছিল। সেখানে দেখা গেল, খোদ বিরোধী দলনেতাই বৈঠকে অনুপস্থিত। যিনি নিজের গড় রক্ষা করতে পারেননি। নিজের ওয়ার্ডে হেরেছেন। বিরোধী দলনেতার এই অনুপস্থিতি নিয়ে দলের অন্দরে উঠছে প্রশ্ন। গোটা বৈঠকে এটা নিয়েই কানাঘুষো চলল।
ঠিক কী ঘটেছে চিন্তন বৈঠকে? সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী এলেন না। তিনি যে আসতে পারবেন না সেটা শুক্রবার বেশি রাতে জানিয়েছেন। তবে তাঁর গরহাজিরা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাটপাড়ায় যিনি একটি ওয়ার্ডও জিততে পারেননি সেই বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং বৈঠকের শুরুতে ছিলেন না। খবর নিয়ে দেরী করে বৈঠকে যোগ দেন। আবার বিজেপি সাংসদ তথা অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে মঞ্চে ডাকা হয়নি। লকেটকে দর্শকাসনে বসে থাকতে হয়। মঞ্চে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য।
এই বৈঠকের আগে লকেট বিজেপি নেতৃত্বকে আত্মসমালোচনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে লকেটের। তাই আগেই তাঁকে সাইড করে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। এখানেই নিজেদের দোষ ঢাকতে তাই সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ‘সিপিআইএমকে ভোট দিয়ে বিজেপির ভোট ভাগের চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি করলে আক্রমণ করা হচ্ছে। অথচ, সিপিআইএমের হয়ে ছাপ্পা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ সুতরাং পরাজয়ের পর্যালোচনা হল না।
বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা ত্রিপুরা–মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় আগেই বলেছেন, এটা ফাটা ডিম। এখানে তা দিয়ে লাভ নেই। কিছুই পাওয়া যাবে না। আর সুকান্ত মজুমদারের দেওয়া তথ্যের তীব্র সমালোচনা করে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি নেতারা কর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছেন না। সুকান্তরা প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত। তাই বস্তাপচা কথা বলছেন।’