একুশের নির্চনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে বিজেপিতে ভাঙনের তালিকা লম্বা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সব্যসাচী দত্ত বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। বিধায়ক–সাংসদ ব্যাঙ্কে তো ভাঙন লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রীতিমতো আজ তিনি দাবি করলেন, বিজেপির অনেক নেতারাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন। তাঁদের কবে দলে নেওয়া হবে সেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন।
তাহলে কী এবার বড় ভাঙন ধরবে বিজেপিতে? এই বিষয়ে শনিবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপির আরও অনেক নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চান। আমাদের কাছে অনেক অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে। অভিষেকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। অভিষেক ঠিক করবে, কবে কাকে দলে নেওয়া হবে।’ ফিরহাদের এই মন্তব্যের পর বিজেপি রীতিমতো আজ ফোন করতে শুরু করে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বেশ কয়েকজনকে ফোন করেছেন বলে সূত্রের খবর।
ফিরহাদের কথা অনুযায়ী, এবার যাঁরা আসবেন তাঁরা বিজেপি নেতা–বিধায়ক–সাংসদ। তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁরা ছিলেন না। এই কথা যদি মিলে যায় তাহলে বিজেপি কার্যত ফাঁকা হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও দিলীপ ঘোষের সাফাই, ‘নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এসেছিল। তাঁদের অনেকেই সুবিধা করতে না পেরে এখন ফিরে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু নেতাও আছে। কাউকে কাউকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সম্প্রতি তিন কেন্দ্রের নির্বাচনেও বিজেপি লাড্ডু পাওয়ায় আর অনেকে ভরসা রাখতে পারছেন না। আরও কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে সূত্রের দাবি। তাই ফিরহাদের দাবিকে একেবারে উড়িয়েও দিতে পারছে না বিজেপিও। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে অনেকেই ঘুঁটি সাজিয়েছেন। এটা রাজ্য নেতারাও জানেন। আসলে কেউ তো রোজগার বন্ধ করে থাকতে পারেন না। তাই চলে যাচ্ছে।’