UPSC ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় একের পর এক সফলতার কাহিনি সামনে আসছে। কিন্তু সফলতার পথ সর্বত্র সহজ ছিল না। ওড়িশার বাসিন্দা অনিমেষ প্রধানের সফলতার কাহিনিটা জানুন এবার।
ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস এক্সমিনেশন ২০২৩এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অনিমেষ প্রধান। সেই সময়ই তিনি ক্যানসার রোগ আক্রান্ত তাঁর মাকে হারান। তবে চোখের জল মুছে লক্ষ্য স্থির রাখেন অনিমেষ। এদিকে ফলাফল বের হতে দেখা গেল সর্বভারতীয় স্তরে তিনি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। তবে এত বড় সাফল্যের পরে তাঁর একটাই আফসোস ছেলের সাফল্যে দেখে যেতে পারলেন না তাঁর বাবা-মা।
অনিমেষের বাবা ছিলেন প্রিন্সিপাল। তিনি ২০১৫ সালে মারা গিয়েছিলেন। আর এবার ইউপিএসসির পরীক্ষার প্রস্তুতি চলার সময় তাঁর মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই মারা যান তিনি। তবে এতবড় সফলতার পরেও অনিমেষের মনটা একটু খারাপ ছিল। কারণ তিনি তাঁর মাকে হারিয়েছেন। আবার এর আগে তাঁর বাবাও মারা গিয়েছিলেন। ছেলের এত বড় সফলতার খবর তাঁর বাবা মা জেনে যেতে পারলেন না।
রৌরকেল্লার ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছিলেন অনিমেষ। তিনি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডে কর্মরত। সেই অনিমেষই ইউপিএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, আমি যখন খবরটা পেয়েছিলাম তখন কিছুটা আবেগবিহ্বল হয়ে যাই। আমি মায়ের সঙ্গে এই খবরটা শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনিই তো নেই। আমার মা আমাকে সবথেকে বেশি উৎসাহ দিতেন। তিনিই আর নেই। কাকে বলব সফলতার কথা।
এবারই প্রথম ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। আর প্রথমবার এই পরীক্ষায় বসেই বিরাট সফলতা পেলেন তিনি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অনিমেষ জানিয়েছেন, আপনি যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার সঙ্গে আপনার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চান, যদি আপনার তীব্র ইচ্ছাশক্তি থাকে তবে আপনি আপনার লক্ষ্যপূরণ করতে পারবেন।
এবার ওড়িশা থেকে অন্তত ১৮জন ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন এক্স হ্য়ান্ডেলে যে আমি ওড়িশার সমস্ত সফল প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, যাঁরা ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। আশা করছি তাঁরা একেবারে তৃণমূলস্তরের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবেন। তাঁদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।