২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিকাল সায়েন্সেস-এর (WBNUJS) ৩০% আবাসিক সংরক্ষণের সুবিধা প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, হেমন্ত গুপ্ত এবং এস রবীন্দ্র ভাটের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ বলে, WBNUJS (সংশোধন) আইন, ২০১৮ কেবলমাত্র সম্ভাব্য ভাবে প্রয়োগ হয় এবং ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এই আইন কার্যকর হবে না।
তদনুসারে, বেঞ্চ এক প্রার্থীর দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে, যিনি ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৩০% আবাসিক সংরক্ষণের সুবিধা চেয়েছিলেন (শ্রেয়স সিনহা বনাম দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকাল সায়েন্সেস এবং অন্যান্য)।
বেঞ্চ কেবল পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২০--২০২১ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজার্ভেশন বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিষয়টি হ'ল সমস্যাটি হ'ল WBNUJS সংশোধন আইন, ২০১৮ এর ভিত্তিতে WBNUJS এ পাঁচ বছরের আইনের কোর্সে আবেদনকারীকে ভর্তি করা হয়েছিল, যা ২১.০৫.২০১৯ থেকে কার্যকর হয়েছিল। এটি পশ্চিম বঙ্গে কমপক্ষে ৩০% আবাসনের বা বসবাসের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাধারণ আইন প্রবেশিকা পরীক্ষা (CLAT) ২৬.০৫.২০১৯ এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৪.০৬.২০১৯ তারিখে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল যেখানে আবেদনকারী ৭৩১ নম্বরে স্থান পেয়েছিলেন।
আবেদনকারীর বক্তব্য হ'ল, CLAT পরিচালিত হওয়ার আগে আইনটি কার্যকর হওয়ার কারণে, ২০১৯-২০২০ এর শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কাছে আবাসিক সংরক্ষণের সুবিধা বাড়ানো উচিত। এই ভিত্তিতে আবেদনকারী কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছিল, এবং আবেদনকারী তারপরই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান। শেষে সুপ্রিম কোর্টও তা খারিজ করে দিল।