জাতীয় দলের হয়ে এখনও পর্যন্ত ২১টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। তবে নতুনদের ভিড়ে আপাতত হারিয়ে গিয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ২০২২-এর মার্চে শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপান কর্ণাটকের তারকা ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার খুব একটা সুযোগ নেই। তবে বছর দু'য়েক আইপিএলে নজর কাড়তে পারেননি বলেই স্পটলাইটের আড়ালে চলে গিয়েছেন তিনি।
দেওধর ট্রফিতে দক্ষিণাঞ্চলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচকদের গুডবুকে নাম তুলতে পারেননি। একের পর এক আন্তর্জাতিক সিরিজে জাতীয় নির্বাচকরা নতুনদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নিচ্ছেন। তবে মায়াঙ্কের দিকে ফিরে তাকাননি আগরকররা। এমনকি এশিয়ান গেমসের দলেও জায়গা হয়নি মায়াঙ্কের।
যদিও এখনই হাল ছাড়তে নারাজ মায়াঙ্ক। লড়াই জারি রেখেছেন কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থার ঘরোয়া টি-২০ লিগ মাহারাজা ট্রফিতে। টুর্নামেন্টের প্রথম ৮টি ম্যাচে ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। নয় নম্বর ম্যাচে মাঠে নেমে দাপুটে শতরান করেন আগরওয়াল।
চিন্নাস্বামীতে টুর্নামেন্টের ২৫তম লিগ ম্যাচে করুণ নায়ারের মাইসোর ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্স। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। ক্যাপ্টেনের ধ্বংসাত্মক সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২১২ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
মায়াঙ্ক ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ বলে ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ৫৭ বলে ১০৫ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন আগরওয়াল।
আরও পড়ুন:- PAK vs AFG: কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল জয়, এত কম ব্যবধানে আগে কখনও ODI হারেননি রশিদরা
এছাড়া দেগা নিশ্চল ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ বলে ২৯ রান করেন। ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ২৪ রান করেন শুভাঙ্গ হেজ। ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সূরজ আহুজা। ৬ বলে ১ রান করে আউট হন ইজে জাসপার। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৭ রান করে নট-আউট থাকেন পবন দেশপান্ডে।
মাইসোরের জগদীশা সূচিত ৩৪ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ৩২ রান খরচ করে মায়াঙ্ককে সাজঘরে ফেরান গৌতম মিশ্র। ৩২ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন মণিশ রেড্ডি। উইকেট পাননি এম বেঙ্কটেশ, মনোজ ভান্দাগে ও শ্রেয়স আচার।