ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তাক লাগিয়ে দিলেন রাকিম কর্নওয়েল। ব্যাট হাতে করলেন শতরান। এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করেই সেন্ট কিটসকে ৮ উইকেটে হারাল বার্বাডোস রয়্যালস। একা হাতেই দলের ব্যাটিং অর্ডারকে সামলালেন কর্নওয়াল। তাঁর এই শতরানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ১২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এর থেকেই স্পষ্ট হয়েছে তিনি কতটা চালিয়ে খেলেছেন। ১২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ফলে বিপক্ষ দলের বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন তিনি।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট কিটস। ওপেন করতে নামা দুই ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার উইল স্মিড দুর্দান্ত শুরু করেন। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে সেন্ট কিটস। ফ্লেচার ৩৭ বলে ৫৬ রান করেন ৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। পাশাপাশি স্মিড ৩৬ বলে ৬৩ বলে রান করেন ৫টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও রাদারফোর্ড ২৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ৫টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করলে তা ধোপে টেকেটি। সেন্ট কিটসের ব্যাটারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে তারা।
বড় রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামলে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন বার্বাডোসের ওপেনার কর্নওয়েল এবং কাইল মায়ের্স। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে থাকে বার্বাডোস। প্রথম দিকে যদিও বোঝা যায়নি এই ম্যাচে সহজেই সেই রান তুলে নিতে পারবে বার্বাডোস। কিন্তু ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই যেন নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে কর্নওয়াল। বাউন্ডারি কম মারলেও, ওভার বাউন্ডারি বেশি করে সংগ্রহ করতে থাকেন। ১০২ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এছাড়াও রোভম্যান পাওয়েল। ২৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ৫টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে।
মাত্র ১৮.১ ওভারেই জয়ের জন্য নির্ধারিত রান তুলে নেয় বার্বাডোস। ২ উইকেটে বার্বাডোসের সংগ্রহ ২২৩ রান। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বার্বাডোস। ম্যাচের সেরা হয়েছেন শতরান করা কর্নওয়াল। বিপক্ষ দলের বোলারদের ছেলে খেলা করার পাশাপাশি কর্নওয়ালের সেঞ্চুরির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।