অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। পার্লে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে এনরিখ ক্লাসেনের যে ক্যাচটি ধরেন সাই সুদর্শন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। সিরিজের প্রথম দু'ম্যাচে পরপর হাফ-সেঞ্চুরি করে সুদর্শন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কত ভালো ব্যাটার। এবার ক্লাসেনের এই ক্যাচটিই প্রমাণ করল, তিনি কোনও অংশে পিছিয়ে নেই ফিল্ডিংয়েও।
বোল্যান্ড পার্কে ভারতের ৮ উইকেটে ২৯৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা একসময় ৩২ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭০ রান তোলে। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে বল করতে আসেন আবেশ খান। ওভারের প্রথম বলেই চার মারেন এনরিখ। তবে দ্বিতীয় বলে সুদর্শনের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।
আবেশের বলে ড্রাইভ শট খেলার চেষ্টা করেন ক্লাসেন। তবে বলের বাউন্স ঠিক মতো অনুমান করতে পারেননি তিনি। ফলে বল হাওয়ায় ভেসে যায়। মিড-অফে সামনের দিকে দৌড়ে এসে শূন্যে শরীর ছুঁড়ে দেন সাই সুদর্শন। ফুল-লেনথ ডাইভে মাটিতে ড্রপ করার ঠিক আগের মুহূর্তে বল তালুবন্দি করেন তিনি।
এভাবে সামনের দিকে শরীর ছুঁড়ে ক্যাচ ধরা মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে সেই কঠিন কাজটিই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেন সুদর্শন। তৃতীয় আম্পায়ারকে টেলিভিশন রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হতে হয় বল মাটি ছুঁয়েছিল কিনা। সুদর্শনের এমন অবিশ্বাস্য ফিল্ডিংয়ের জন্যই ব্যক্তিগত ২১ রানের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় ক্লাসেনকে। ২২ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৪ রানে ৫ উইকেট হারায়।
ভারত শেষমেশ ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই সুবাদে তারা ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। উল্লেখ্য, জোহানেসবার্গের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় ভারত। সেন্ট জর্জেস পার্কের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার বোল্যান্ড পার্কের দাপুটে জয়ে ট্রফি হাতে তোলে টিম ইন্ডিয়া।
পার্লে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত শতরান করেন সঞ্জু স্যামসন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১৪ বলে ১০৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিলক বর্মা। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ বলে ৫২ রান করেন। বল হাতে একাই চার উইকেট নেন আর্শদীপ সিং।