ভারতীয় ক্রিকেট দল ৮ অক্টোবর রবিবার আইসিসি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক করতে চলেছে। এই ম্যাচকে ঘিরে সমস্ত খেলোয়াড় এবং ভক্তদের মধ্যে প্রচুর উত্তেজনা রয়েছে। এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই খুব কঠিন হতে চলেছে। এই ম্যাচ জেতার জন্য রোহিত অ্যান্ড কোম্পানি এবং ক্যাঙ্গারুরা কঠোর পরিশ্রম করবে। এই টুর্নামেন্টে রোহিত ব্রিগেডের উপর অনেক মানসিক চাপ থাকবে, কারণ তাঁর নেতৃত্বে ভারত কোনও বড় শিরোপা জেতেনি। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। বড় ম্যাচের আগে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। ভারতের তারকা খেলোয়াড় শুভমন গিলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে, যে কারণে তার খেলা নিয়ে রয়েছে বেশ সাসপেন্স। তবে প্লেয়িং ইলেভেন নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সামনে আসেনি।
শুভমন গিলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে-
এই বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড় শুভমন গিলের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, যিনি কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার ব্যাট দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলেন। এদিকে শুভমন গিল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তার খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। অসুস্থতার কারণে প্লেয়িং ইলেভেনে জায়গা না পেলে সেটা দলের জন্য বড় ধাক্কার চেয়ে কম হবে না। গিলের খেলার বিষয়ে নির্বাচক বা অধিনায়ক এখনও কিছু বলেননি, তবে মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে তিনি খেলতে পারবেন না। এখন প্রশ্ন হল শুভমন গিল কটা ম্যাচ খেলতে পারবেন না? এ ছাড়াও গিল যদি বাদ পড়েন তাহলে প্লেয়িং ইলেভেনে জায়গা দেওয়া হবে কাকে।
এখন মনে করা হচ্ছে, তার জায়গায় প্লেয়িং ইলেভেনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইশান কিষান। শুভমন গিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর 'কমপক্ষে প্রথম দুটি ম্যাচ খেলার কোনও অবস্থায় নেই বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিসিসিআই সূত্র থেকে এমনই খবর বেরিয়ে আসছে। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান ম্যাচে শুভমন গিলকে পাওয়া যাবে না। তবে এরপরেই ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তান ম্যাচে গিলকে পেতে পারে ভারত।
গিলের অর্বতমানে যে ভারতীয় দলের ওপেনিং জুটিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে তা সকলেই জানেন। এর জন্য টিম ম্যানেজমেন্টও তাদের প্ল্যান ‘বি’ তৈরি রাখছে। এখন দেখার শুভমন গিল আদৌ ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারে কিনা।
ভারত প্রথমবারের মতো পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে-
৪৬ দিনব্যাপী আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রতিধ্বনি শোনা যাবে সারা বিশ্বে। প্রথমবারের মতো, ভারত যৌথভাবে নয়, সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টের নিজস্ব আয়োজক। বিশ্বকাপের সব ম্যাচ ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে, যা শুরু হয়েছে ৫ অক্টোবর থেকে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর শিরোপা জয়ের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে, যার জন্য সমস্ত দল কঠোর পরিশ্রম করবে।