বিশ্বকাপ শুরুর আগেই মনোবল তুঙ্গে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। দুজনেই ওয়ার্ম আপ ম্যাচে পেলো জয়। যদিও দুটোই ছিলো বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ। একদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড হারায় বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে। আবার অন্যদিকে, কিউয়িরা হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে। দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে।
সোমবার বৃষ্টি বিঘ্নিত ইংল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পায় ইংরেজরা। বৃষ্টির জন্য ওভার কমিয়ে ৩৭ ওভারে ম্যাচ হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৩৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৮৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ৮৯ বল খেলে ১০টি চারের সাহায্যে করেন ৭৪। এছাড়াও ওপেনার তানজিদ হাসান করেন ৪৪ বলে ৪৫ রান করেন। তিনি ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি সংগ্রহ করেন। যদিও ম্যাচের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্রুত ফিরে যেতে হয়েছিল লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তকে।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডেরও শুরুটা ভালো হয়নি। দ্রুত ফিরে যেতে হয়েছিল ওপেনার দাওয়ে মালানকে। সবশেষে ৬টি উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ব্রিটিশদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন বাঁহাতি পিঞ্চ হিটার মইন আলি। তিনি ৩৯ বল খেলে ৬টি ওভার বাউন্ডারি ও ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৫৬ রান। এছাড়াও দ্রুত গতিতে রান আসে জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলারের ব্যাট থেকে। বেয়ারস্টো করেন ৩৪ ও বাটলার ৩০।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারায় নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩২১ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ডেভন কনওয়ে। তিনি ৭৩ বল খেলে ১১টি চার ও ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৭৮। এছাড়াও অর্ধশতরান করেন টম লাথাম। তিনি করেন ৫৬ বলে ৫২ রান এবং মারেন ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি। এছাড়াও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন কেন উইলিয়ামসন ও গ্লেন ফিলিপস।
বৃষ্টির জন্য ওভার কমিয়ে দিয়ে করা হয় ৩৭। ২১৯ রান তাড়া করতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২১১ রান এবং হারায় চারটি উইকেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন কুইন্টন ডি কক। তিনি ১২টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে করেন ৮৪।