শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশেষত সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ হোক কিংবা ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দুই বিশ্বকাপেই ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১১ সালে তো টু্র্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে এক ওভারে ছয় বলে ছটি ছক্কা হাঁকিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। সেই তারকা অলরাউন্ডার নাকি একটা সময়ে কিপার হতে চেয়েছিলেন! তারপর কী কারণে বদলাল সিদ্ধান্ত তা এক পডকাস্টে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
পডকাস্টার রনবীর আল্লাহবাদিয়ার 'দ্য রনবীর শো' নামক এক পডকাস্ট শোতে এই কথাই জানিয়েছেন যুবরাজ সিং। যুবরাজ জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা সবসময়ে চেয়েছিল যাতে আমি পেসার হোই। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৪ বছর বয়সে আমার পিঠের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। আমি সেই সময়ে বিষেণ সিং বেদী ক্যাম্পে অনুশীলন করতাম। সেখানেই বিষেণ সিং বেদী লক্ষ্য করেন আমার ব্যাটার হিসেবে বোলারের থেকে বেশি সামর্থ্য রয়েছে। আমাকে উনি আমার ব্যাটিংয়ের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে বলেন। পাশাপাশি আমাকে স্পিন বোলিংয়ে ও নজর দিতে বলেন। আমার বাবার প্রথমে এই উপদেশ একেবারে পছন্দ হয়নি।তবে উনি যখন জানতে পারেন যে আমার পিঠে চোট রয়েছে তখন তিনি এটা মেনে নেন।’
এরপরে যুবরাজ জানান এক অজানা তথ্য। তিনি বলেন, ‘আমি এই সময়ে উইকেট কিপিং শুরু করি। বাবার এটা একেবারেই পছন্দ হয়নি। তিনি কখনও চাননি অন্য কেউ বল করুক আর আমি সেটা ধরি। উনি চেয়েছিলেন আমি বল করব আর অন্য কেউ ধরব। উনি চেয়েছিলেন যাতে আমি বোলার হই। বাবার ধ্যান ধারনা অন্য অনেকের থেকে আলাদা ছিল। উনি চাইতেন আমি ১৫০ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টা গতিবেগে বল করি। ১০০০ খানেক উইকেট নিই। ১০০০০-২০০০০ রান করি।’ এই পডকাস্টেই আবার একপ্রকার বোমা ফাটিয়েছেন যুবরাজ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি কখনও একে অপরের ভালো বন্ধু ছিলেন না। তবে দেশের হয়ে তারা একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে নামতেন। তা হল নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা নিংড়ে দেওয়া।দেশকে জিততে সাহায্য করা।