অভিষেকের নব জোয়ার যাত্রায় ভোটাভুটির নামে ফের একবার প্রতারণার অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে। এই অভিযোগে দল বেঁধে পদত্যাগ করলেন বুথের সমস্ত তৃণমূলকর্মী। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ওদিকে পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীর হয়ে কাজ করার হুমকি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সনপুর বুঝের তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, গত মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ভোটাভুটিতে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হিসাবে আলপনা খামরুই জয়ী হন। সেই মতো তিনি মনমোনয়ন পেশ করেন। ওদিকে নির্দল হিসাবে মোননয়ন দেন আরেক তৃণমূল কর্মী লক্ষ্মী পণ্ডিত। পরে দেখা আলপনাকে এড়িয়ে লক্ষ্মী পণ্ডিতকে টিকিট দিয়েছে দল।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সনপুর বুথের তৃণমূলকর্মীরা দলবেঁধে ইস্তফা দিয়েছেন। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ইস্তফাপত্র পোস্ট করেছেন তাঁরা। সঙ্গে অঞ্চল সভাপতিকেও সেকথা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবারের মধ্যে আলপনাদেবী প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে নামবেন তাঁরা।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মুফু সরদার। তিনি বলেন, সমস্যা একটা হয়েছে। আমরা কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি। দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে হবে। লক্ষ্মী পণ্ডিত ওই সংসদের বাসিন্দা নন। তার জেরেই বিক্ষোভ। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা হবে।
ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার কথায়, তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের লাভ গোছাতে কাউকে ছাড়ে না। রাজ্যের মানুষকে এরা বছরের পর বছর প্রতারণা করে চলেছে। এমনকী দলের কর্মীদেরও ছাড়ছে না। নিজেদের ইচ্ছা মতো প্রার্থীই যখন করবে তখন দলের কর্মীদের ডেকে এনে ঘটা করে ভোট করানোর কী দরকার ছিল?