ভোটে সিংহভাগ আসনই তৃণমূলের দখলে। গোটা বাংলা কার্যত সবুজ। নানা হিংসার অভিযোগ। সন্ত্রাস, রক্তারক্তি, খুনোখুনি। তারপরেও শেষ হাসি হেসেছে তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি সন্ত্রাস করে ভোটে জিতেছে শাসকদল। তবে এতদিন বাদে নড়েচড়ে বসল নবান্ন। এবার ভোট হিংসা সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট চেয়ে নবান্ন থেকে চিঠি পাঠানো হল জেলা শাসকদের কাছে। কী রয়েছে সে নির্দেশে?
সূত্রের খবর, মূলত সেই নির্দেশে বলা হয়েছে জেলায় জেলায় ভোট পরিস্থিতিতে কী ধরনের হিংসের হিংসার ঘটনা হয়েছে তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আসলে আদালত থেকে ভোট হিংসা সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই জেলায় জেলায় এনিয়ে খোঁজ খবর করা শুরু হয়। মনে করা হচ্ছে জেলা শাসকরা যে সমস্ত রিপোর্ট পাঠাবেন তার ওপর ভিত্তি করে এই হলফনামা তৈরি হতে পারে। এবার প্রশ্ন জেলা থেকে ভোট হিংসা সংক্রান্ত ঠিক কি ধরনের রিপোর্ট পাঠানো হতে পারে?
বিরোধীদের একাংশের দাবি, সিংহভাগ হিংসার ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে শাসক দল। বহু ক্ষেত্রে বিরোধীদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে শাসক দলের নিজেদের মধ্যে তুমুল মারপিট হয়েছে। ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়েই গন্ডগোল। একের পর এক খুনের ঘটনা হয়েছে। ভোটের দিন বুথে ঢুকে লুঠ করা হয়েছে ব্যালট বাক্স। সেই ব্যালট বক্স এনে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যালট। রাজ্য পুলিশের চোখের সামনে ঘটনা হয়েছে। তারপরে ঠিক কি রিপোর্ট পাঠানো হবে তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে বিরোধীদের একাংশের দাবি এবার যদি হিংসার কথা উল্লেখ করা হয় তবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তবে নবান্ন থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এটা করতে গিয়ে স্কুল কলেজ যাতে বন্ধ না হয় সেটা দেখতে হবে। মিডিয়াতে যে হিংসার খবর বেরিয়েছিল তারও ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।