পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিএসএফের ডিআইজির এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নিজের ঘেঁটে লাট হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিন একদিকে তিনি বলেন, বিএসফকে জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দিয়েছে কমিশন। তার পরই বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশে।
এদিন রাজীব সিনহাকে বিএসএফের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা একটা গল্প। এটা আগেও বলেছি। ওরা স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েছিল। আমাদের ঘনঘন বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পরিকল্পনা লেখা রয়েছে। প্রথম কথা হচ্ছে ওদের বাহিনী মোতায়েনে স্পর্শকাতর বুথ বলে কোনও ব্যাপার ছিল না। যে স্পর্শকাতর বুথে বেশি দেবে বাকি বুথে কম দেবে এরকম ছিল না। ওরা শুধু লিখেছিল, সর্বপ্রথমে সেন্সেটিভ বুথকে দেওয়া হবে। আমরা স্পর্শকাতর বুথের জেলাভিত্তিক তালিকা তালিকা দিয়ে দিয়েছিলাম। তবে আমরা বলেছিলাম, যে কোনও বুথে বাহিনী মোতায়েন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারে সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেটাই হয়েছে। আমার প্রশ্ন হল, তালিকা না থাকলে আপনারা স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করলেন কী করে’?
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য অনুসারে, ‘ওদের বাহিনী মোতায়েনে স্পর্শকাতর বুথ বলে কোনও ব্যাপার ছিল না। যে স্পর্শকাতর বুথে বেশি দেবে বাকি বুথে কম দেবে এরকম ছিল না।’ তার পরই তিনি বলেন, ‘ওরা শুধু লিখেছিল, সর্বপ্রথমে সেন্সেটিভ বুথকে দেওয়া হবে।’ প্রশ্ন উঠছে, সেজন্য কি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে থাকা দরকারি নয়?
তার পর তিনি বলেন, ‘আমরা স্পর্শকাতর বুথের জেলাভিত্তিক তালিকা তালিকা দিয়ে দিয়েছিলাম।’ এর পর তিনি বলেন, ‘তবে আমরা বলেছিলাম, যে কোনও বুথে বাহিনী মোতায়েন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারে সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেটাই হয়েছে।’ প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেওয়ার মানে কী থাকল?
রাজনৈতি বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছে, তার পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী কোনও পদক্ষেপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজীব কুমার। তার জেরেই নানা রকম অসংলগ্ন কথা বলছেন তিনি।