কর্ণাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দাঙ্গা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আশঙ্কাকে ঘিরে এবার তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তারা এনিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাবেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, অমিত শাহ চারটি স্ট্র্যাটেজি নিয়ে চলছে। অপমান করা, উসকানি দেওয়া, ভয় দেখানো, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা।
এদিকে মঙ্গলবার বেলাগাভি জেলায় একটি পাবলিক মিটিংয়ে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, যদি কর্ণাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তবে রাজ্যে পরিবারবাদের রাজনীতি শুরু হবে, এটা দাঙ্গায় উসকানি দেবে। রাজনৈতিক স্থিতাবস্থার জন্য় তিনি মানুষের সমর্থন চান। তিনি জানিয়েছিলেন একটি নতুন কর্ণাটকের জন্য় বিজেপিকে সমর্থন জানানো দরকার।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ভুল করেও যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে তবে এখানে দুর্নীতি ভয়াবহ আকার নেবে। এখানে তোষামোদের রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে শাহের সেই বক্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, এটা একেবারে উসকানিমূলক মন্তব্য। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি ছিলেন তিনি যে সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন সেই সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে শাহের। এখন হার নিশ্চিত জেনে এসব কথা বলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসলে তিনি আরএসএসের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেন।
জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে এবার কেরলে হারছে বিজেপি। কংগ্রেস এলাকায় যে প্রচার চালাচ্ছে যে সাড়া পাচ্ছে তা অভূতপূর্ব। শাহকে ধিক্কার। আমরা নির্বাচন কমিশনকে গোটা বিষয়টি জানাব।
আগামী ১০ মে কর্ণাটকে ভোট হবে। এরপর ১৩ মে ভোট গণনা হবে কর্ণাটকে। তার আগে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের জেরে তপ্ত হচ্ছে কর্ণাটক। কোনও পক্ষই বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও রাজনৈতিক জমি দিতে চাইছে না। এবার অমিত শাহের মন্তব্যের তীব্র জবাব দিল কংগ্রেস।