আজ প্রথম দফায় বাংলার ৩ কেন্দ্র কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে নির্বাচন হল। ভোট শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকাতে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। মহানন্দা গার্লস স্কুলের ভোট গ্রহণ বুথের সামনে পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁকে আটক করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের লাইভ আপডেট: সকাল থেকেই তপ্ত কোচবিহার, উদয়নকে ঘিরে বিক্ষোভ মহিলাদের
অভিযোগ উঠেছে, বিধায়ক ৩০১ নম্বর বুথে যখন প্রবেশ করতে যান তখন পুলিশ এবং তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে বাধা দেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়, কোনও দলীয় নেতা বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকতে পারবেন না। সেই কারণে তাঁকে আটকানো হয়। এই অভিযোগকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিধায়কের বচসা বাঁধে। তারপরেই শিখা চট্টোপাধ্যায় বুথের সামনে অবস্থান বসে পড়েন। ঘটনায় পুলিশ তাঁকে আটক করতে যায়। কিন্তু, শিখা চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখাতে হবে। বিজেপি কর্মীরাও সেই দাবি করেন। এরপরই তাদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে।
জানা গিয়েছে, সকাল থেকে ডাবগ্রামবফুলবাড়ির বিভিন্ন বুথে ঘুরে দেখচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক। ঠিক সেই সময় শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যামের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেখানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। বিধায়কের গাড়ির সামনেই বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। কোনওমতে সেখান থেকে বেরিয়ে যান শিখা চট্টোপাধ্যায়।
এরপরই নিজের কার্যালয়ে পৌঁছে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করছে। তবে তাকে রোখা যাবে না। ফের তিনি বুথে যাবেন। এছাড়াও পুরুষ পুলিশ কর্মীরা তাঁকে টানা হেঁচড়া করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন বুথে ইভিএম বিভ্রাট, বোরখা পরিহিত ভোটারদের হেনস্থার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে
এই ঘটনায় অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় নির্বাচন কমিশন। শিখা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। আদতে তিনি বুথের নির্দিষ্ট পরিধি অতিক্রম করেছিলেন কিনা? বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন কিনা? কমিশন সেই সম্পূর্ণ বিষয় খতিয়ে দেখবে।