বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর নিজের জায়গা মেদিনীপুর ছেড়ে তিনি প্রার্থী হয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছিল তিনি হয়তো তারপর থেকেই অভিমানী। তবে তিনি নিজে মুখে স্বীকার করেননি যে তিনি অভিমানী। তবে সেই দিলীপ ঘোষ এবার আন্দামানে যাচ্ছেন বলে খবর। কিন্তু ভোটের মাঝপথে তিনি আন্দামানে যাচ্ছেন কেন?
তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে একটা সময় তিনি আন্দামানে প্রচার করতেন। সঙ্ঘের কাজে থাকতেন আন্দামানে। সেই দিলীপ আচমকাই যাবেন আন্দামানে। সূত্রের খবর দিলীপ ঘোষের খুব কাছের বন্ধু হলেন বিষ্ণুপদ রায়। তিনিও এবার বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন আন্দামানে। সেই বন্ধুর হয়ে প্রচারে দিলীপ যাবেন আন্দামানে। একদিনের জন্য তিনি আন্দামানে যাবেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি আন্দামান যাচ্ছেন বলে খবর।
৬ এপ্রিল দ্বীপপুঞ্জে যাবেন দিলীপ ঘোষ। সেক্ষেত্রে তিনি একদিনের জন্য যাচ্ছেন আন্দামানে। মূলত বন্ধুর হয়ে প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। মাত্র একদিনের জন্য বিরতি রেখেই তিনি আন্দামানে যাচ্ছেন বলে খবর।
দিলীপ ঘোষ নিজে সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, তিনবার জিতেছেন বিষ্ণুপদ। আমার পুরনো বন্ধু। গতবার খুব কম ভোটে হেরেছিল ওই আসনে। এবার বিজেপি জিতবে।
তবে দিলীপের দাপট কিছু অংশে কমেনি এখনও । এমনটাই মনে করেন অনেকে। দিলীপ জানিয়েছিলেন, ‘এখনও দাদাগিরি শুরুই করিনি। ওরা এখন টুকঠাক করছে। যেদিন একটা ঘা মারব না! কামারের ঘা ওরা দেখেনি। সিধা হয়ে যাবে সব।’ দিলীপের এই মন্তব্যের পরেই হাততালি দিতে থাকেন সেখানে উপস্থিত বিজেপির নেতা কর্মীরা।
দিলীপ আরও বলেন, ‘যখন সভা করব তখন তৃণমূল দম নিতে পারবে না। ওদের প্রার্থীদের কেউ তারা করলে, মার খেলে মন্দিরে যাবে।’ তৃণমূল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে দিলীপের পরামর্শ, ‘ঠাকুরের পায়ে পড়তে হলে আগেই ঠাকুরের পায়ে পড়ুন। তাহলে মার খেতে হবে না। পিঠে মারের দাগ নিয়ে আর ঠাকুরের কাছে গিয়ে কি হবে।’ দিলীপের কথায়, ‘যারা মানুষের কাছে যেতে ভয় পায়, মন্দিরে যেতে যারা ভয় পায় যাদের মানুষ চোর, কাটমানি খোর বলে চেনে। তাদের মন্দিরে ঢুকতেই দেবে না কেউ। আমরা তো মন্দির তৈরি করি, আমরা মন্দিরে যাবো না তো চোরেরা যাবে।’