বিনোদন দুনিয়ায় ফের একটা খারাপ খবর। ইনস্টাগ্রামে একের পর এক কদর্য, ঘৃণিত মন্তব্য, জীবনে চরম পথ বেছে নিলেন বছর ১৬-এর এক সমকামী শিল্পী। জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা ওই শিল্পীর নাম নাম প্রাণশু। যিনি একের পর এক ঘৃণিত মন্তব্য না মেনে নিতে পেরে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ।
প্রাণশু, যিনি কিনা স্ব-শিক্ষিত একজন মেকআপ শিল্পী ছিলেন। যিনি কিনা নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মেকআপ এবং সৌন্দর্য সামগ্রী পোস্ট করেছিলেন। কিছুদিন আগে দিওয়ালিতে, বছর ১৬র সমকামী শিল্পী প্রাণশু শাড়ি পরে একটি ইনস্টাগ্রাম ট্রানজিশন রিল পোস্ট করেন। আর এরপরেই নাকি প্রাণশুর ওই ভিডিয়োর নিচে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি হোমোফোবিক (Homophobic) কমেন্ট পড়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন বলিউডের রূপান্তরকামী অভিনেত্রী (মেড ইন হেভেন খ্যাত) ত্রিনেত্রা হালদার গুম্মারাজু। আর এই ধরনের মন্তব্যই প্রাণশুকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে বলে অভিযোগ। যে কারণে প্রাণাশু আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করছেন অভিনেত্রী ত্রিনেত্রা সহ LGBTQ সম্প্রদায়ের আরও অনেকেই। জানা যাচ্ছে, প্রাণশুর মোট অনুগামীর সংখ্যা ছিল ১৬,৫০০-র ও বেশি।
আরও পড়ুন-রণবীর নন, Animal-এর মিউজিক লঞ্চে লাইমলাইট কাড়লেন ববি পুত্র আর্যমান
যদিও প্রাণশুর মৃত্য়ুর ঘটনা এখনও তদন্তাধীন। নাগঝিরি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক কে এস গেহলট বলেছেন, আত্মহত্যার সঠিক কারণ নিয়ে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে রূপান্তরকামী অভিনেত্রী ত্রিনেত্রা হালদার গুম্মারাজু দাবি করেছেন, ইনস্টাগ্রামের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা মেটার মালিকানাধীন, বারবার LGBTQ সম্প্রদায়ের লোকেদের নিরাপদ স্থান দিতে ব্যর্থ।
প্রসঙ্গত, আর্থার বেজার, যিনি প্রাক্তন মেটা এক্সিকিউটিভ ছিলেন, ২০২১ সালে পদত্যাগ করেন, তিনি দাবি করেছিলেন যে ইনস্টাগ্রাম কিশোরদের জন্য তাঁর প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষা সম্পর্কে জনসাধারণকে ‘মৌলিকভাবে বিভ্রান্ত করছে’। মিঃ বেজার এই মাসের শুরুতে মার্কিন সিনেটরদের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে ইনস্টাগ্রাম ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়।