বুধবার সন্ধ্যায় দেশজুড়ে শুরু ‘ময়দান’-এর পেইড স্ক্রিনিং। বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছে (?) এই ছবি, অথচ মুক্তির কয়েকঘন্টা আগে জোর ধাক্কা খেলেন অজয় দেবগণ। ময়দান টিমের বিরুদ্ধে চিত্রনাট্য চুরির অভিযোগ তুলে সরব হলেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার অনিল শর্মা। আরও পড়ুন-‘অজয় দেবগণ আমায় সরি বলে রিটেক চাইলেন..’,ময়দানের সফর ফিরে দেখলেন ‘নেভিল’ আরিয়ান
গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা-মুম্বইতে ময়দানের বেশকিছু স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের স্বর্নযুগ ও কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের জীবনীচিত্র উঠে এসেছে এই ছবিতে। ময়দান ঘিরে ধন্য ধন্য রব চারিদিকে, তার মাঝেই বড় ধাক্কা খেলেন অজয় দেবগণ, বনি কাপুররা। অনিল শর্মার আনা চিত্রনাট্য চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে ময়দানের মুক্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করল মহীশূরের মুখ্য জেলা ও দায়রা আদালত (The principal district and Session court in Mysor), নিউজ ১৮-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে
অনিল শর্মার দাবি, ২০১০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৫০) থেকে ভারতীয় দলের বহিষ্কার নিয়ে একটি চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। সেই গল্প স্ক্রিন রাইটার্স অ্যাসোশিয়েশনে রেজিস্ট্রারও করান। ছবির নাম রেখেছিলেন ‘পদনদুকা’ (Paadanduka)। সেই মতো একটি পোস্টার তৈরি করে লিঙ্কডিনে শেয়ার করেছিলেন অভিযোগকারী।
সেটি সুখদাস সূর্যবংশী মুম্বইয়ে ডেকে পাঠান অনিল শর্মাকে। তাঁর কথায়, ‘সুখদাসকেই আমি পুরো চিত্রনাট্য শুনিয়ে ছিলাম’। ঘটনাচক্রে ময়দান ছবির সহকারী পরিচালক সুখদাস। সুখদাস নাকি অনিলকে কথা দিয়েছিলেন আমির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন, তবে তারপর আর সাড়াশব্দ দেননি। এটি ২০১৯ সালের ঘটনা।
অনিল শর্মা জানান, সম্প্রতি ময়দানের ট্রেলার ও নির্মাতাদের সাক্ষাৎকার দেখে তিনি নিজের চিত্রনাট্যের সঙ্গে এই ছবির মিল খুঁজে পান। তিনি বলেন, ‘অজয়ের ময়দান ছবির গল্পের সঙ্গে আমার লেখা চিত্রনাট্যের মিল রয়েছে। আমিও ১৯৫০ সালের একই গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। পরে জানতে পারি ময়দানে গল্পটা একটু বদল ঘটেছে। কিন্তু চিত্রনাট্য একই রকম’।
অনিল শর্মার আইনজীবী ইয়ান্না সংবাদমাধ্যমক জানান, তাঁর মক্কেলের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়দানের মুক্তিতে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে আদালত। জি স্টুডিও এবং প্রযোজক বনি কাপুরকে সেই সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি ময়দান নির্মাতারা।
১৯৫২ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় ফুটবল দল। অলিম্পিকের আসর বসেছিল ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে। ভারতের বিরুদ্ধে ময়দানে নাম হাঙ্গেরি। তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে যায় ময়দান। কাদা মাঠে হাঙ্গেরির ফুটবলারদের পায়ে স্পাইক জুতো, ভারতীয় ফুটবলার খালি পায়ে! ইতিহাসের সেই ঝলকই ময়দানে উঠে এসেছ। ছবিতে বাঙালির আবেগ ফুটবলের পাশাপাশি রয়েছেন বাঙালি অভিনেতারাও। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এছাড়া চুনী গোস্বামীর চরিত্রে অর্মত্য রায় ও নেভিল ডিসুজার ভূমিকায় আরিয়ান ভৌমিককে দেখ যাবে।