সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট জনপ্রিয় অভিনেত্রী আলিয়া ফার্নিচারওয়ালা ওরফে আলিয়া এফ। কিছু দিন আগে পায়ে মাকড়সা কামড়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। একটি মাকড়সা কামড়েছিল যা তাঁর প্যান্টের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। সেটিই কামড়েছিল আলিয়ার পায়ে। যদিও মাকড়সার কামড় থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। এই ঘটনার পর অভিনেত্রীর প্রধান উদ্বেগ আসন্ন মিউজিক ভিডিয়োর নাচের শ্যুটিং নিয়ে।
সদ্য হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া জানিয়েছেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ এটি (মাকড়সার কামড়ের ক্ষত) এখন প্রায় সেরে গিয়েছে। একটা গানের শ্যুটিংয়ের জন্য রওনা দিতে হবে। ওই ক্ষত নিয়ে নাচতে পারব কিনা সেটা ভেবেই একটু চাপে ছিলাম’। আরও পড়ুন: নিকের মুম্বই কনসার্টে গরহাজির প্রিয়াঙ্কা! মেয়ে মালতীকে নিয়ে কোথা থেকে এলেন ঘুরে
আরও যোগ করেছেন, ‘খুবই বেদনাদায়ক ছিল। ব্যথাটা দিন দিন বাড়ছিল। এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে আমার পায়ের লিম্ফ নোড এবং উপরের অংশটি খুবই ব্যাথা করতে শুরু করে। তার মানে সংক্রমনটা আমার পায়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। আমাকে খুব ভারী অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হয়েছিল। ফুলে উঠেছিল জায়গাটা। মুখটা ফেটে গেলেই আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠি। শুধু সামান্য একটা চিহ্ন রয়েছে, সেটাও আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাবে’।
এই চ্যালেঞ্জিং পর্ব সত্ত্বেও, আলিয়া বর্তমানে ৭৫ দিনের কঠিন চ্যালেঞ্জ চালু করেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘ হ্যাঁ। আমি বর্তমানে ৭৫ দিনের কঠিন চ্যালেঞ্জ শুরু করেছি। সত্যিই খুব ভালো লাগছে। শুরুতে খুব মসৃণভাবে চলছিল কিন্তু তারপরে আমি আমার গানের শ্যুটিংয়ের জন্য প্রচুর রিহার্সাল শুরু করি তখন এটা সত্যি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আমি রিহার্সালটা আমার শারীরিক কার্যকলাপ হিসাবে গণনা করিনি’।
‘একদিনে ৭ ঘণ্টা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে যাই। প্রায় ৫ ঘণ্টা রিহার্সাল এবং ২ ঘণ্টা ওয়ার্কআউট করেছি ৭৫ দিনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে। তার উপরে, অন্য সব কাজও করতে হবে, তাই আমার দিনগুলো এখন অতিরিক্ত পরিপূর্ণ লাগছে, কিন্তু এটা খুবই ফলপ্রসূ’।
আলিয়ার কথায়, এটা করে খুব রি-ফ্রেশ অনুভব করছেন তিনি। ১ জানুয়ারি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এই চ্যালেঞ্জ শুরু করেছেন অভিনেত্রী। যারা চ্যালেঞ্জ নিতে চান তাদের সবাইকে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘যতক্ষণ আপনি একটি সুস্থ ডায়েট ফলো করেন, তখনই কাজে লাগবে। আমি পরিশোধিত চিনি এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে যাচ্ছি, অন্যথায় আমি শুধুমাত্র ভালো খাবার খাই। আমরা সবাই জানি কখন আমরা ভালো বা খারাপ খাবার খাচ্ছি। আমি শুধু ভালো খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হচ্ছি, আমার কার্বোহাইড্রেট ছাড়া খাবার খেতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কারণ আমি খুব বেশি ওজনও কমাতে চাই না। আমি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি এবং কীভাবে করা যায় সেই চেষ্টাই করছি। ৭৫ দিনের মধ্যে সব থেকে কঠিন হন পরিশোধিত চিনি এবং ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকা’।