ইন্ডাস্ট্রিতে বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী জারিন খান। অতিরিক্ত ওজনের জন্য বলি ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় শুরুর পরে নানা রকমের কটূক্তি এবং কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হয় তাঁকে। এমনকি কলেজ জীবনে তাঁর ওজন ছিল ১০০ কেজির ওপরে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
২০১০ সালে সলমনের সঙ্গে ‘বীর’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন জারিন। এরপর রেডি, হাউসফুল ২ এবং ১৯২১-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
বডি শেমিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজে পড়াকালীন ১০০ কেজির ওপর ওজন ছিল তাঁর। কিন্তু এই বিষয় কেউ তাঁকে কিছু বলার সাহস পেত না।
অভিনেত্রীর কথায়, 'যখনই আমি শুনলাম কেউ মোটা এবং কটূক্তি করছে, আমি ভাবতাম কীভাবে এটা করে তাঁরা? এত বড় শহর, ঘুরিয়ে দুটো মারা উচিত। আমি বরাবরই এরকম ছিলাম তাই আমাকে কখনই বকুনি দেওয়া হত না। আমি যখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করি তখন আমি বডি শেমিং-এর মুখোমুখি হয়েছি। আমি বুঝতে পারতাম না। আমি ভেবেছিলাম ‘আমি যখন ১০০ কেজির বেশি ছিলাম তখন আমি এসবের মুখোমুখি হইনি, এবং এখন আমার ওজন অর্ধেক হয়ে গেছে, তাও আমাকে ফ্যাট বলে’!
অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘এটা অদ্ভুত ছিল। কিন্তু আমি গায়ে মাখতাম না। আমি একজন অভিনেতা, আমাকে অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে বিচার করুন, আমার ওজন, রঙ বা উচ্চতা দিয়ে নয়। কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কিছু লোক আছেন যাঁরা বডি-শেমিং নিয়ে সরব। যাইহোক, যখন তারা ছবি বানায়, তখন তাঁরা শুধুমাত্র জিরো ফিগারের মেয়েদের চায়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর শো-অফ এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে’।
‘বীর’ মুক্তির পর প্রায়শই জারিনকে ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তুলনা করা হত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তুলনা এবং বডি শেমিং নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
‘বীর’ তৈরির সময় নির্মাতারা জারিনকে তাঁর ওজন বেশি রাখতে বলেছিলেন। কারণ তিনি ১৮ শতকের রানির ভূমিকায় ছিলেন ছবিতে। সেই সময় অভিনেত্রী নানা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন বলে জানিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। এরপরই তাঁকে ‘ফ্যাটরিনা’ বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই।