দাদার স্টেশনে দিনে ৩০০ টাকা দিনমজুরিতে কাজ করেন দশরথ দাউন্ড। প্রায় তিন দশক ধরে কুলির জন্য কাজ করেছেন। তবে এই দিন আনা দিন খাওয়া দশরথই এমন কাজ করলেন যা অবাক করবে অনেককেই। সোমবার তিনি লক্ষ্য করলেন একটি হাই-এন্ড ফোন ভুল করে কেউ ফেলে গিয়েছেন স্টেশনে বসার জায়গায়। এরপর ফোনটি হাতে আসে দশরথের। শত অভাবের মাঝেও তিনি একবারও ভাবেননি ফোনটি নিজের কাছে রেখে দিতে। এই কুলি অবিলম্বে ফোন লাগান ভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) চৌকিতে। তাঁর এই কীর্তি শুধু পুলিশের কাছ থেকেই প্রশংসা পায়নি, ওই হ্যান্ডসেটের মালিকের কাছ থেকেও একটি পুরস্কার জিতে নেন।
পুলিশ আধিৃকারিকরা পরে দেখতে পান যে হ্যান্ডসেটটি, যার মূল্য ১.৪ লক্ষ টাকা, তা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের বিশ্বস্ত মেক-আপ শিল্পী দীপক সাওয়ান্তের। সাওয়ান্ত পরিবার দাউন্ডেকে তাঁর সততার জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার হিসেবে দিয়েছেন।
সোমবার, দাউন্ড দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের লাগেজ গোচ্ছাছিলেন। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি অমৃতসরের দিকে যাচ্ছিল। ‘আমি প্ল্যাটফর্মে হাঁটছিলাম যখন আমি একটা বসার বেঞ্চে একটা ফোন পড়ে থাকতে দেখি। আমি তা তুলে নিয়ে সেখানে বসা যাত্রীদের প্রশ্ন করি সেটা তাঁদের কারও কি না। সবাই না বললে আমি রেলস্টেশনে থাকা পুলিশের কাছে ফোন জমা দিয়ে ঘুমোতে চলে যাই।’
এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশই তাঁকে ডেকে জানায় তাঁরা হ্যান্ডসেটের মালিককে খুঁজে বের করেছে। আসলে অমৃতসর যাওয়ার ট্রেনে ওঠার সময় তাড়াহুড়োতে বসার জায়গায় ফোন ভুলে গিয়েছিলেন সাওয়ান্ত। নিজের বোকামি বুঝতে পারার পর নিজের নাম্বরেই ডায়াল করেন। তখন একজন পুলিশ উত্তর দিয়ে তাঁকে জানায় ফোনটি চৌকিতে জমা আছে। সাওয়ান্ত তাঁর ছেলে দানবীরকে পাঠিয়েছিলেন হ্যান্ডসেটটি সংগ্রহ করতে।
ওই বৃদ্ধ কুলি জানান, ‘পুলিশ চেয়েছিল যে আমি হ্যান্ডসেটটি দানবীরের হাতে তুলে দেই। আমি তার সঙ্গে একটি ছবি তুলতে পেরেই খুশি হয়েছিলাম।’ সাওয়ান্তরা তাকে তাঁর সততার জন্য ১০০০ টাকা পুরস্কার দিয়েছে বলে খবর।
দশরথ দাউন্ড সত্তরের দশকে সঙ্গামনার থেকে মুম্বই আসেন। বর্তমানে থাকেন চার সন্তান ও পরিবারের সঙ্গে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)