পাকিস্তান সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন বলিউড লেজেন্ড তথা দিলীপ কুমার পত্নী সায়রা বানু । সোমবারই সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা যায় পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত বর্ষীয়ান অভিনেতার পৈতৃক বাড়িটিকে সংরক্ষণের জন্য কিনে নিয়েছে সে দেশের সরকার । এই সংবেদনশীল পদক্ষেপের সমর্থন জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, 'মাশাল্লাহ !!'
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অন্তর্গত কিসা খওয়ানি বাজার এলাকায় অবস্থিত প্রখ্যাত অভিনেতা রাজ্ কাপুর এবং দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটা । তবে স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘদিনের রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে কালের নিয়মে সে বাড়ি আজ ভেঙে পড়ার দশায় পৌঁছেছে । কিন্তু এখানকার প্রাদেশিক সরকার তা ভেঙে না দিয়ে সম্প্রতি এখানকার ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলি কিনে নিয়ে রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব তুলে নিয়েছে নিজেদের কাঁধে ।
সায়রা বানু ইকনমিক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে জানান , 'আমি প্রাদেশিক সরকারের প্রয়াসের সাফল্য কামনা করছি । আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমার স্বপ্ন এতদিনে সত্যি হতে চলেছে । মাশাল্লাহ ।'
এছাড়াও তিনি জানান 'দেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশোয়ারে ইউসুফ সাহেবের পৈতৃক বাড়ি সম্পর্কেও আমি একই খবর পেয়েছি । জানতে পেরেছি সেখানকার প্রাদেশিক সরকার দীর্ঘদিন থেকে বাড়িটিকে স্মৃতি সৌধে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । সরকারের এই উদ্যোগকে আমি সর্বদাই স্বাগত জানাই । আমি সবসময় চাইবো সাধারণ মানুষ এমন ঐতিহাসিক ভবন ঘুরে দেখুন , উপলব্ধি করুন সেই ঐহিত্যকে যেখানে দিলীপ বাবুর মতন একজন উজ্জ্বল তারকা ছেলেবেলা থেকে বেড়ে উঠেছিলেন ।
সায়রা জানান , কয়েক বছর আগেই তাঁরা সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন, এবং শৈশবের স্মৃতি স্মরণ করে নস্টালজিয়ায় ভেসে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা ।
অন্যদিকে অবিভক্ত ভারতের বুকে ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে দেওয়ান বাসেস্বরনাথ কাপুর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে কাপুর হাভেলি তৈরি করেছিলেন । সম্পর্কে তিনি ছিলেন রাজ কপুরের ঠাকুরদা । রাজ এবং তাঁর কাকা ত্রিলোক কাপুর এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন । পরবর্তীকালে এই বাড়িকেই ন্যাশনাল হেরিটেজ ঘোষণা করে দেয় সেখানকার প্রাদেশিক সরকার । পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে কাপুর হাভেলিকর বর্তমান মালিক আলি কাদের কোনও পরিস্থিতিতেই দেশের গর্ব তথা এই ঐতিহাসিক নিদর্শনকে ভেঙে ফেলতে রাজি নন । ঐতিহাসিক গুরুত্ব পর্যালোচনা করে একাধিকবার তিনি যোগাযোগ করেছিলেন সে দেশের আর্কিওলজিকাল দফতরের সাথে । অবশেষে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে । জানা গিয়েছে , সরকারকে বিক্রির জন্য ২০০ কোটি টাকা দর হেঁকেছেন আলি ।