প্রথমবার রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় কাজ করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কদিন আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ। ফিরেছেন কাজে। কাজ করছেন রাজের পরবর্তী ছবিতে এসভিএফের ব্যানারে। এই সিনেমায় আরও আছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী। সঙ্গে এই সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখলেন ছোট পরদার চেনা মুখ অহনা দত্ত। যাকেএখন দেখা যাচ্ছে মিশকা হিসেবে অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকে।
প্রথম সিনেমাতেই দুই সুপারস্টারের সঙ্গে কাজের সুযোগ। কেমন অভিজ্ঞতা হল অহনার? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী জানালেন, ‘আমার ভাবনার বাইরে ছিল। এক তো আমার সিরিয়ালের কাজ চলছে। সেই সময়ে এরকম একটা অফার। রাজ চক্রবর্তী আর মিঠুন চক্রবর্তী… এই দুই চক্রবর্তীর নাম শুনেই আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার প্রথম সিনেমা রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে হবে, আমি ভাবতে পারিনি। সবাই তো রাজ চক্রবর্তীর হিরোইন হতে চায়, আমি যে সুযোগ পেয়েছি ওঁর সঙ্গে কাজ করার সেটাই আমার কাছে বড় পাওনা।’
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা কারও জন্যই সহজ নয়। এই সিনেমায় তিনি অভিনেতার বউমা, ঋত্বিক চক্রবর্তীর স্ত্রী। অহনা জানালেন, ‘মিঠুনদা হল আমার দেখা সবচেয়ে মিষ্টি মানুষ। উনি প্রথমদিন থেকেই আমাকে খুব আপন করে নিয়েছেন। ভীষণ হাসিঠাট্টা করেন সেটে। সকলের সঙ্গে মজা করে কাজ করতে ভালোবাসেন।’
‘আমাকে যার বিপরীতে কাস্ট করা হয়েছে। ঋত্বিক চক্রবর্তী আর কী, আমি বেশ ভয় ভয়ে ছিলাম নাম শোনার পর থেকেই। উনি এত ব্রিলিয়ান্ট। আমার রীতিমতো ভয় করছিল আদৌ পারব তো। আমার যিনি ডিরেক্টর অনুরাগের ছোঁয়ায়, তিনি আমাকে টেনশন করতে দেখে বলেছিলেন, 'তুই পারবি। তোর মধ্যে আছে অভিনয়টা। আর সমানে যে আছে, রাজ চক্রবর্তী, সেই তোর মধ্যে থেকে অভিনয় বের করে আনবে। তুই শুধু উনি যা বলছে শুনবি'।’, আরও বললেন অহনা।
আপাতত চলছে রাজের ছবির কাজ। ফলে একটু চাপই আছে কাজের। তবে অহনা জানালেন, ‘এত ভালো একটা পরিবেশ পেয়েছি ছবির সেটে, মনেই হচ্ছে না প্রথম কাজ করতে এসেছি। আর আমি যে, রাজ চক্রবর্তীর হিরোইন হয়েছি, এটাই আমার বড় পাওনা। এখন মনে মনে চাই, রাজদা যেন খুশি হয় আমার প্রতিটা শটের পর। আমার তো এখনও হাত পা কাঁপছে শট দেওয়ার আগে। খুব টেনশন লাগছে।’
তবে এত বড় একটা খবর মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেননি। চাঁদনীর সঙ্গে গত ২ বছর ধরে সম্পর্ক নেই অহনার। মা-মেয়ের ভুল বোঝাবুঝির কারণে কথাও বন্ধ। অহনা সেই প্রসঙ্গে বললেন, ‘কিছুই জানানো হয় না মাকে। আমার সঙ্গে মায়ের দু বছর ধরে কোনও যোগাযোগ নেই। কিছুই বলা হয় না এখন আর। যে কোনও খবর পেলেই তো বাড়ির কথা মনে পড়ে আগে। যেখানে ছোট থেকে বড় হওয়া। মনে হয় মা-কে জানাব, দিদাকে জানাব। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয় না এখন।’
তবে জীবনের এই সাফল্য় অহনা ভাগ করে নিয়েছেন প্রেমিক ও অনুরাগের ছোঁয়ার রূপটান শিল্পী দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে। বললেন, ‘আমার সিনেমায় সুযোগ পাওয়ায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে আমার প্রেমিক দীপঙ্কর। ও যেভাবে আমাকে গাইড করে, শুধু প্রেমিক হিসেবে নয়, আমায় সবরকম ভাবে সবসময় সাহায্য করেছে। যেভাবে বোঝায় সময় নিয়ে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হয। জানি মা সঙ্গে থাকলে এগুলোই বোঝাত। ভগবান আমাকে ফাঁকা রাখেননি কখনও। মা-বাবা সকলের জায়গাটা ও নিয়ে নিয়েছে।’