বাংলার দুর্গাপুজোর পর গুজরাটের লোকনৃত্য গরবা সমাদৃত বিশ্বমঞ্চে। রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ‘অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ (UNESCO Intangible Heritage Tag) সম্মান ঝুলিতে এল গরবার। গত বছরই এই সম্মানের জন্য ভারত সরকারের তরফে গরবাকে মনোনীত করা হয়েছিল। খুশির হাওয়া গুজরাট-সহ গোটা দেশে।
ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তসরকার কমিটির ১৮তম অধিবেশন এই মুহূর্তে জারি রয়েছে আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসান শহরে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনেসকো-র তরফে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ এই খবর জানানো হয়েছে।
সেটি শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন- ‘গরবা হল জীবন, একতা এবং আমাদের ঐতিহ্যের উদযাপন। অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় গরবার অন্তর্ভূক্তির ফলে গোটা বিশ্ব দেখবে ভারতীয় সংস্কৃতি কতটা মন্ত্রমুগ্ধকর। এই সম্মান আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে আমাদের সংস্কৃৃতি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে। যাতে সেটা আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। সকলকে অভিনন্দন এই গ্লোবাল স্বীকৃতির জন্য’।
২০২১ সালে ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজে জায়গা করে নিয়েছিল দুর্গাপুজো। গরবার আগে দুর্গাপুজো-সহ ভারতের মোট ১৪টি সংস্কৃতিক উপাদান ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। গুজরাটি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অঙ্গ গরবা। নবরাত্রির উৎসবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত রয়েছে এই ভক্তিমূলক লোকনৃত্য।
বৈচিত্র্য তুলে ধরা ও বিশেষ বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসমস্ত সংস্কৃতিগুলোর গুরুত্ব রয়েছে, একমাত্র তাদেরকেই ইনট্যানজিবল হিসাবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ভারতের গরবার পাশাপাশি এবছর ঢাকা শহরের ‘রিকশা ও রিকশাচিত্র’কেও কালচারাল হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেসকো।
ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ তালিকার গরবার অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খুশির জোয়ার গোটা গুজরাটে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল জানান, ‘আদি মাতার উপাসনার অন্যতম মাধ্যম হল গরবা। এবার ইউনেস্কোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেই গরবা। গুজরাট ও ভারতের জন্য এটা বিশাল গর্বের মুহূর্ত। ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যেকে সম্মান জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্র সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।’