Hindustan Times NxT প্ল্যাটফর্মে এসে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। হিন্দুস্তান টাইমসের ম্যানেজিং এডিটর (এন্টারটেইনমেন্ট) সোনাল কালরা (Sonal Kalra)র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আড্ডায় মেতে ওঠেন অভিনেতা। একই প্যানেলে হাজির ছিলেন শত্রুঘ্ন কন্যা অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহাও।
শত্রুঘ্ন স্বীকার করেছেন যে তিনি সেটে খুব একটা সময় মতো পৌঁছোতে পারতেন না। এমনকি অভিনেতা জানিয়েছেন, নিজের বিয়েতেও তিন ঘণ্টা দেরীতে পৌঁছেছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে প্রাক্তন অভিনেত্রী পুনম সিনহাকে বিয়ে করেন শত্রুঘ্ন।
অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘আমি সেটে পৌঁছতে দেরী করতাম। কিন্তু আমি আমার সমস্ত কাজ শেষ করার জন্যও পরিচিত ছিলাম। আমি কখনও সেটে গিয়ে সমস্যা বা বায়না করিনি। বলিনি যে আজ কাজ করব না, ইচ্ছে করছে না বা বাইরে শ্যুটিং থাকলে সেটেই পৌঁছলাম না, এমন ঘটনা কোনদিনও ঘটাইনি। জ্বর থাকলেও, আমি সেটে পৌঁছে যেতাম’।
শত্রুঘ্ন স্মৃতিচারণ করে গুলজার-এর 'মেরে আপনে’র সেটে যখন তিনি অসুস্থ ছিলেন, সেই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রস্তাব দিয়েছিল, চোখে চশমা পরে আমার দৃশ্যগুলো শ্যুট করার। গুলজার সাহেব আমাকে বললেন দু-একদিনের মধ্যে ফিরে আসতে একবার আমার চোখ ভালো হয়ে গেলে। কিন্তু আমি কখনো শ্যুটিং বাতিল করিনি’।
এই আলাপচারিতায় মেয়ে সোনাক্ষীকে প্রকৃত পেশাদার বলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সে নাকি সময়ের সম্পর্কে বেশ সচেতন। শত্রুঘ্ন জানান, ‘সোনাক্ষী তাঁর ঠাকুরদার মতো হয়েছেন। শত্রুঘ্ন সিনহার বাবা আমেরিকায় পড়াশোনা করেছেন। ভীষণরকম সময় সম্পর্কে সচেতন ছিলেন তিনি। কোথাও ৬টায় পৌঁছনোর থাকলে তিনি সেখানে ৫টা ৫৫মিনিটে পৌঁছে যেতেন। এই একই গুন রয়েছে মেয়ে সোনাক্ষীর মধ্যেও। এছাড়াও আমার দুই ছেলে লব-কুশ দুজনই খুব সময়নিষ্ঠ, তবে সোনাক্ষী তাঁদের মধ্যে সবথেকে বেশি সময় সচেতন’।
শত্রুঘন সোনাক্ষী এবং অক্ষয় কুমার সহ বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতাদের প্রশংসা করেছেন। যারা সময়মতো সেটে পৌঁছান এবং তাঁদের 'সত্যিকারের পেশাদার' বলে অভিহিত করেছেন তিনি।