একসময় বোফর্স কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের। আর তারপর থেকেই কেরিয়ারে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অমিতাভ। সেটা ছিল ৮০ দশকের শেষের দিক। পরে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ থেকে অমিতাভের নাম মুছে ফেলা হয়, তবে ততদিনে অমিতাভের খ্যাতিতে কালো ছাপ পড়ে গিয়েছে। সেসময় জাভেদ আখতার নাকি বিগ-বিকে পরামর্শ দেন, নিজের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করা যায় এমন ছবিতে তাঁর কাজ করা উচিত। আর সেকারণেই তৈরি হয়েছিল ‘ম্য়ায় আজাদ হুঁ’ ছবিটি। ছবির পরিচালক ছিলেন টিনু আনন্দ। পরিচালক টিনু তার আগে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে 'শাহেনশা' (১৯৮৮) ছবিতেও কাজ করেছিলেন।
‘ম্য়ায় আজাদ হুঁ’ ছবির পরিকল্পনা ছিল জাভেদ আখতারের, আর তাতে অমিতাভ কাজ করার জন্য সম্মতিও দেন, তবে শর্ত ছিল টিনু-ই ছবিটি পরিচালনা করবেন। টিনু আনন্দের কথায়, সেসময় তাঁরা সবাই বিশ্বাস করেছিলেন জাভেদ আখতারের গল্পটি ছিল মৌলিক। তবে পরে বুঝতে পারেন, সেটা আসলে ছিল ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া হলিউড ছবি নেটওয়ার্ক এবং ১৯৪১ সালের মিট জন ডো ছবির অনুলিপি।
আরও পড়ুন-জন্মাষ্টমীতে গৌরীকে কাঁটাবিদ্ধ করে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে শৈল, তারপর?
আরও পড়ুন-জন্মাষ্টমীতে গৌরীকে কাঁটাবিদ্ধ করে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে শৈল, তারপর?
অভিনেতা-পরিচালক টিনু আনন্দ বলেন, ‘ম্য়ায় আজাদ হুঁ ছবিটি যেদিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল, বিরোধীরা দূরদর্শনেও আরও একটি ছবি দেখানো শুরু করল, সেটা ছিল মিট জন ডো। তবে ম্য়ায় আজাদ হুঁ ছবিটি মিট জন ডো-এর চেয়েও বেশি, নেটওয়ার্ক-এর অনুলিপি ছিল। নেটওয়ার্ক-এর গল্পটা প্রায় একই ছিল। তবে জাভেদ চাননি, যে আমরা ওই ছবি দেখি। আসলে উনি দেখাতে চেয়েছিলেন, তিনি মৌলিক গল্পই লিখেছেন।’
টিনু আনন্দ বলেন, যে তিনি জাভেদের কাজে খুব হতাশ ছিলেন। তাঁর কথায়, আমার নেটওয়ার্ক দেখতে চেয়েছিলাম, আমি মিট জন ডো-দেখতেও চেয়েছিলাম। ওই দুটির ছবির সঙ্গে আমাদের চিত্রনাট্যের তুলনা করতে চেয়েছিলাম। নিজেদের চিত্রনাট্যের উন্নতির জন্যই মূল ছবিটি দেখা প্রয়োজন ছিল। পরে আমি জাভেদকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে তিনি কেন লুকিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর লেখা গল্পটি আসলে নেটওয়ার্ক এবং মিট জন ডো-র অনুলিপি!
‘কেন লুকিয়েছেন?’ এই প্রশ্নে জাভেদ আখতার বলেছিলেন, ‘আমি চাইনি আপনারা সবাই অনুপ্রাণিত হোন… অমিতাভ যদি এটা দেখতেন, তাহলে তিনিও একইভাবে অভিনয় করতেন। আমি সেটা চাইনি। যদিও সেটা মিথ্যে ছিল'।