নয়া নিয়মে এবার বাঁধা পড়ল দেশের ওটিটি প্ল্য়াটফর্মগুলি। যতক্ষণ স্ক্রিনে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার দেখানো হবে, সেই সময়কালে পর্দার নীচে তামাকবিরোধী সর্তকবার্তা তুলে ধরতে হবে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে। যাতে তা অবশ্যম্ভাবী ভাবে দর্শকদের চোখে পড়ে। মঙ্গলবার একথাই রাজ্যসভায় জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কোনও ছবি বা ওয়েব সিরিজে মদ্যপান বা ধূমপানের দৃশ্য থাকলে বিধিবদ্ধ সতর্ককরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ কথা জানিয়ে গত ৩১শে মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেখানে স্পষ্ট করা হয়, ‘অনলাইন কনটেন্টের কোনও প্রকাশক যদি এই নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তাহলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক কঠোর ব্যবস্থা নেবে'। সে কথা এদিন রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসপি বাঘেল।
নয়া নিয়মানুসারে, তামাকজাত দ্রব্য়ের ব্যবহার বা তা প্রদর্শন করা হয়েছে এমন বিষয় তুলে ধরলে, অনলাইন কনটেন্টের প্রকাশক অর্থাৎ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য অনুষ্ঠানের শুরুতে এবং মাঝে তামাকবিরোধী বার্তা তুলে ধরতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে যে নতুন নিয়মগুলি মেনে চলতে ব্যর্থ যে কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে জরিমানা, পরিষেবা স্থগিত রাখা, এমনকী কারাদণ্ডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি মূলত কম বয়সীরাই এইসব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের গ্রাহক। তাই তামাক-বিরোধী বার্তা সেখানে যোগ করা অতি-আবশ্যক। এই সতর্কবাণীতে সুফল মিলবে বলেই আশাবাদী কেন্দ্র।
পাশাপাশি যতক্ষণ কোনও দৃশ্যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার চলবে সেইসময়কালে স্ক্রিনের নীচে ধূমপান বিরোধী সতর্কবাণী দেখাতে হবে। এছাড়াও অডিও-ভিস্য়ুয়াল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে দর্শককে সচেতন করতে হবে।
২০২৩ সালে সিগারেট এবং অন্য তামাকজাত প্রোডাক্ট সংশোধন আইনের ৬ নম্বর ধারা অনুসারে একটি উপদেষ্টা কমিটি দায়িত্বে থাকবে এই নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে। সেই কমিটিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক ও ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা থাকবেন।