Manoj Bajpayee morphed photo: মর্ফ করে ছড়ানো হয়েছে ‘নগ্ন উর্ধাঙ্গ’-র ছবি, জানালেন মনোজ বাজপেয়ী! দেখুন সেই ফোটো

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল মনোজ বাজপেয়ীর ছবিখানা। কী রয়েছে এই ছবির পিছনের রহস্য হিসেবে?

ছবি মর্ফ করে ছড়ানো হল মনোজের। 

সম্প্রতি, নতুন বছরে এমন একটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছিলেন অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী যা মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল সকলের। একটি ছবি শেয়ার করে মনোজ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘নতুন বছর নতুন আমি! দেখো আমার শরীরের উপর স্যুপের প্রভাব। একদম কিলার লুক না?’ মনোজের এই নতুন অবতার দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠে অনুরাগীদের। তবে এবার, মনোজ স্পষ্ট করলেন যে, তাঁর এই ছবিটি নতুন ওয়েব সিরিজ ' কিলার স্যুপ' -এর প্রচারের অংশ হিসাবে বিকৃত করা হয়েছে ।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়, অভিনেতা প্রকাশ করেছিলেন যে ছবিটি আসল নয়, তবে মর্ফড। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়েব সিরিজ কিলার স্যুপের প্রচারেরই একটি অংশ ছিল এটি।

অভিষেক চৌবে পরিচালিত, 'কিলার স্যুপ' সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘কিলার স্যুপ’ এবং দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছে। এতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন মনোজ বাজপেয়ী এবং কঙ্কনা সেন শর্মা।

এর আগে জুম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক অভিষেক চৌবেকে বলতে শোনা গিয়েছে, মনোজ বাজপেয়ী আর কঙ্গনা সেন শর্মা-র কথা প্রথম থেকেই তাঁর মাথায় ছিল এই দুই চরিত্রের জন্য। এমনকী, এই দুজনকে মাথায় রেখেই তিনি তাঁর এই স্ক্রিপ্টখানা লিখেছেন। এমনকী, স্ক্রিপ্ট শেষ করার আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন কঙ্গকা আর মনোজকে। দুজনেই সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ করে দেন। অভিষেকের কথায়, যেহেতু নিজের চোখে দুজনে দেখেছেন তাঁদের চরিত্রটাকে তৈরি হতে, তাই প্রস্তুতির জন্য অনেক বেশি সময়ও পেয়েছেন। 

এর আগে মনোজ এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছিলেন নিজের ফিট থাকার রহস্য। তাঁকে বলতে শোনা যায়, '১৩-১৪ বছর হয়ে গেল আমি ডিনার করি না। আমার দাদু খুব রোগা ছিলেন। কিন্তু হলে কী হবে উনি ভীষণ সুস্থ থাকতেন, ফিট ছিলেন। ওঁর থেকেই আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। আমি তখনই ঠিক করে নিই যে আমার দাদু যা যা খেতেন আমিও সেগুলোই খাব। তারপর আমি যখন তাঁকে দেখাদেখি রাতে খাওয়া ছেড়ে দিলাম আমার ওজন কমতে শুরু করল। একই সঙ্গে এনার্জি যেন অনেক গুণ বেড়ে গেল। নিজেকে স্বাস্থ্যবান বলে মনে হতে থাকল। একবার যখন এটা দেখলাম কাজ করছে, তখন থেকে একটানা এটাই মেনে চলি।' 

মনোজ জানিয়েছিলেন, ‘আমি কখনও ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকি, কখনও ১৪ ঘণ্টা। দুপুরের খাবার পর আমার রান্নাঘরে আর কোনও কিছু তৈরি হয় না। কেবল আমার মেয়ে হোস্টেল থেকে ফিরলে তখন নিয়মের কিছু বদল হয়।’