হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গত বছরে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা খচিত মুখ ছিল নুসরত জাহান আর মিমি চক্রবর্তী। এবার দুজনেই বাদ। সেই জায়গায় চর্চায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রচনার নাম ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই তারপর তাঁকে ঘিরে ধরেছিল মিডিয়া। আর সেখানে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও আসে প্রশ্ন। তবে তাতে রচনার বলা একটি কথা, আপাতত কটাক্ষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রচনা সংবাদমাধ্যমের কাছে সাফ জবাব দিয়ে বলেছিলেন, ‘দাঁড়ান আগে সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলি। কী করে বুঝছেন যারা নিজেদের নির্যাতিত বলছে, তাঁর সত্যিই নির্যাতিত। সবাই তো এমন বলছে না।’
আর রচনার এই কথা ভাইরাল হতেই মুখ খুললেন পুরুষাধিকার কর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্য। কার্যত রচনাকে সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। এমনকী, রচনার হিট টিভি শো দিদি নম্বর ১-ও বাঁচতে পারল না এই কটাক্ষের হাত থেকে।
নন্দিনী সরাসরি রচনার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি দিদি নম্বর ১ থেকে সোজা সুবিধাবাদী নম্বর ১ হয়ে গেলেন। দিদি নম্বর ১-এ আপনার যেই রূপ দেখা গিয়েছে, আপনি এমপি সিট পাওয়ার পর কি সেই রূপ দেখা গেল? আপনি তো পালটি খেলেন। একদল মহিলার উদ্দেশে বলতে পারলেন তাঁদের অত্যাচারের কি প্রামণ? এদিকে এতদিন বিশ্বাস করতেন, মহিলা মানেই সে অত্যাচারিত!’
‘এতকাল উনি এমন একটা শো সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন, যা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেন। গোটা বিশ্বের বাঙালি দেখে। সেই শো-তে কি উনি কোনওদিন কারও মুখে তাঁদের জীবনে অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনা কতটা সত্য তা যাচাই করে দেখেছেন। উনি বা ওঁর টিম কোনওদিন সেই কষ্টটা করেছে? সঞ্চালিকা হিসেবে কোনওদিন প্রমাণ তো চাননি। তাহলে আজকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে কীভাবে চাইছেন প্রমাণ।’, গর্জে উঠলেন নন্দিনী।
এর আগেও অনেকেই দাবি তুলেছে, রচনার শো-তে আসা প্রতিযোগীরা অনেকেই সুযোগ পাওয়ার জন্য মিথ্যে কথা বলে, বর-শ্বশুরবাড়ির নামে। এমনকী, এক প্রতিযোগীর স্বামী ভিডিয়ো করে, কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল রচনার শো-কে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই নন্দিনী বললেন, ‘আমাদের কাছে অনেক পুরুষ মানুষ আছে, যারা এসে প্রমাণ করেছে, আমাদের নামে এরকম কুৎসা রটানো হয়েছে দিদি নম্বর ১ শো-তে। মিথ্যে বলা হয়েছে আমার বাড়ির লোকের নামে। এরকম দুটো ভিডিয়ো তো খুব ভাইরালও হয়েছিল। কই তারপরেও তো কারও টনক নড়েনি। চান না প্রমাণ এখনও তাঁরা।’
এরপর সরাসরি ব্যক্তি রচনাকে আক্রমণ করে নন্দিনী বলে ওঠেন, ‘এটা প্রমাণ করল মানুষ হিসেবে তিনি আসতে কেমন। উনি মোটেই মহিলাদের দুঃখে কাতর নন। এতদিন পয়সা পেয়েছেন বলে সেটে দাঁড়িয়ে ওসব বলেছেন। আর আজ সিট পেয়েছেন বলে তৃণমূলের হয়ে কথা বলছেন। দলের প্রতি দায়। এমপি সিটের দায়। এরা যথার্থই সুবিধাবাদী।’