সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এবার নির্বাচন কমিশনের 'ন্যাশনাল আইকন' পদ ছাড়লেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ভোট নিয়ে দেশের নাগরিকদের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে ২০২২-এর অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনের তরফে 'ন্য়াশনাল আইকন' হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে। তবে এবার সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন অভিনেতা।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?
বিহারের ভূমিপুত্র পঙ্কজ জানিয়েছেন, সামনেই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘ম্যায় অটল হুঁ’। সেখানে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। আর তাই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাঁর চুক্তিতে উল্লেখিত শর্তাবলী অনুযায়ী 'ন্যাশনাল আইকন' পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের তরফেই অভিনেতার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ECI এর তরফে ২০২২ সালে অক্টোবর থেকে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার এবং #SVEEP-এ তার প্রভাবশালী অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। ইসিআই-এর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি দিয়ে পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তারপর ২২ জানুয়ারি রয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে ১৯ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে পঙ্কজ ত্রিপাঠি অভিনীত ছবি ‘ম্যায় অটল হুঁ’। যেটি কিনা আদ্যপ্রান্ত একটা রাজনৈতিক ছবি।
এর আগে ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ ত্রিপাঠি তাঁর রাজনীতিবিদ হওয়ার ইচ্ছের কথা বলেছিলেন। বলেন, বিহারে তো সকলেই রাজনীতিক। তিনি জানান, কলেজের পড়াকালীন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্য ছিলেন। সেসময় শুরুতে রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকলেও পড়ে সে শখ চলে যায়। কারণটাও অকপটে জানান পঙ্কজ। বলেন, ABVP-র সদস্য থাকাকালীন আন্দোলনে নেমে পুলিশের মার খেয়েছিলেন তিনি। একসপ্তাহ জেলেও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তখনই বুঝেছিলেন রাজনীতি বড়ই কঠিন।
পঙ্কজ জানান, রাজনীতি থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে নাটক, থিয়েটারের প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। সেসময় তিনি বহু থিয়েটার, স্ট্রিট থিয়েটার দেখেছেন। এরপর পাটনায় এসে কাইলদাস রঙ্গালয়ে নিজেই নিজের নাম নথিভুক্ত করেন। তখন তাঁর মনে হয়েছিল এটা রাজনীতির থেকে অনেক ভালো।
এদিকে 'ম্যায় অটল হুঁ' ছবিতে অভিনয়ের বিষয়ে পঙ্কজ ত্রিপাঠি বলেন, ‘এটা আমার কাছে সিনেমার থেকেও বেশি, অটল বিহারী বাজপেয়ীর চরিত্রে অভিনয় করার এই যাত্রাটা সত্যিই আমার হৃদয়ের খুব কাছের। মানুষটা সত্যিই একজন কিংবদন্তি এবং আমরা তার অনুপ্রেরণামূলক গল্পকে বিশ্বের সামনে নিয়ে আসতে পেরে সম্মানিত। আমি আশা করি দর্শকরাও আমাদের এই প্রচেষ্টার পাশে থাকবেন।