রাজকুমার রাও-এর নতুন ছবি 'শ্রীকান্ত আ রাহা হ্যায় সবকি আঁখেঁ খোলনে'-র মুক্তি পেতে চলেছেন। তবে আপাতত তাঁকে ঘিরে একটাই আলোচনমা। রাজকুমার কি প্লাস্ট্ক সার্জারি করিয়েছেন?
সম্প্রতি দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্ট থেকে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই লোকে জল্পনা শুরু করে যে তিনি সৌন্দর্য বাড়াতে ছুরির নীচে গিয়েছেন। আর এবার তাতে মুখ খুললেন রাজকুমার নিজেই। স্পষ্ট করলেন যে, ‘এটি প্লাস্টিক সার্জারি নয়!’
রাজকুমার শুনে বেশ মজা পান যে, তাঁর সঙ্গে ফাইটার (২০২৪) এর ভিলেন ঋষভ সাহনির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। ‘আমি এই বিতর্কটিতে খুব মজা পেয়েছি, আমি সেই নির্দিষ্ট ছবিটিওও দেখেছি। সত্যি ওটা দেখে মনে হচ্ছে যেন আসল। তবে আমার অমন নিখুঁত ত্বক নেই। ওখানে তো আমাকে কে পপ তারকাদের মতো দেখাচ্ছে।’
রাজকুমারকে বলতে শোনা যায়. বয়স বাড়ির লক্ষণ স্পষ্টভাবেই তাঁর চেহারাতে রয়েছে। ‘আমার মুখে বলিরেখা আছে। আমি তো আর ২১ বছরের নেই। অবশ্য তখনও লোকজন আমার চেহারা নিয়ে মন্তব্য করত। আমি যখন অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করি, তখন কাস্টিং, প্রোডাকশনের অনেকেই বলতেন, ‘তুমি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে পারবে না, নায়ক হতে যা লাগে তা তোমার কাছে নেই’। আট-নয় বছর আগে, কাই পো চে-এর পরে, আমি প্রথমবারের মতো চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলাম। তার আগে এই জিনিসগুলির অস্তিত্বও জানতাম না।’
‘উনি (চরিমরোগ বিশেষজ্ঞ) বললেন ‘তোমার চেহারা ভারসাম্যহীন’। আর এটা সত্যি, আমার থুতনি একটু নিচু ছিল। আমি কিছুটা ফিলার ব্যবহার করেছি এবং তারপর আসলে পার্থক্যটি অনুভব করেছি। হঠাৎ লোকজন আমাকে বলতে শুরু করল 'তুমি খুব আত্মবিশ্বাসী'। এরপর স্ত্রী, বাধাই দো-র মতো ছবি হল। আমি ভেবে দেখলাম, ভালোই হয়েছে। এটা আমার জীবন, আমার চেহারা। যদি মেডিক্যালি কিছু পাওয়া যায়, কেন নয়? যদি কিছু আমাকে আত্মবিশ্বাস দেয়, আমি তা অবশ্যই করব। অনেকেই তো হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য যান। যতক্ষণ না আপনি এটি চরম উপায়ে না করছেন, যাতে আপনার গোটা চেহারাটাই বদলে যাচ্ছে, ততক্ষণ কি সমস্যা!’, আরও বলেন রাজকুমার।