'আগন্তুক' আদিলের আগমনেই মুখার্জি বাড়িতে হইচই পড়ে গিয়েছে। পটকার স্বীকারোক্তি যে ‘খড়কুটো'প্রেমীদের রাতের ঘুম উড়িয়েছিল তা বলাই যায়। তবে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে নেপথ্যের কাহিনিটা। পটকার সঙ্গে আদিলের রক্তের সম্পর্ক, পটাকার একের পর এক মিথ্যা কথা বলার পিছনে অনেক বড় সত্যি লুকিয়ে রয়েছে তা আঁচ করতে পারছেন দর্শক। সূত্রের খবর শীঘ্রই নাকি নতুন মোড় নেবে এই ধারাবাহিক। দর্শক এতদিন যে মুনিয়ার উল্লেখ চিত্রনাট্য শুনে এসেছে এবার সশরীরে হাজির হবেন তিনি। জেঠাইয়ের বড়ো মেয়ে মুনিয়ার উল্লেখ প্রথমবার পুটুপিসির বিয়ের সময় উঠে এসেছিল। এবার খবর সিরিয়ালে মুনিয়া হয়ে এন্ট্রি নেবেন অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী।
জল্পনা সামনে আসতেই নেটাগরিকের দাবি, ‘মুনিয়ার চরিত্রে বিদীপ্তা চক্রবর্তীকে দারুণ মানাবে'। কারণ বিদীপ্তাও একজন রবীন্দ্রসংগীতপ্রেমী, অন্যদিকে মুনিয়াও রবি ঠাকুরের গান ছাড়া বাঁচতে পারে না।
গত রবিবারের এপিসোডে জেঠাই-বড়মা দুজনেই আদিলের কথা শুনে নিজেদের বড় মেয়ের কথা মনে করেছে। মুনিয়াও রবি ঠাকুরের গান ছাড়া এক মুহূর্ত বাঁচতে পারে না, যেমনটা আদিলের মা পারে না বলে জানিয়েছে সে। পাশাপাশি আদিলের তাবিজে মুনিয়ার নামও খোদাই করা রয়েছে। দুয়ে দুয়ে চার করে নিতে অসুবিধা হয়নি দর্শকদের। খড়কুটোর ভক্তরা প্লটও সাজিয়ে ফেলেছেন, ভিন ধর্মে বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিল মুনিয়া সেই কারণেই জেঠাই কোনও সম্পর্ক রাখেনি মেয়ের সঙ্গে। আর মুনিয়ারই ছেলে আদিল। সুতরাং মুখার্জি পরিবারের নাতি সে। আদিলের চরিত্রে ইতিমধ্যেই ঋষভ বসু নজড় কেড়েছে দর্শকদের। মুনিয়ার আগমনে মুখার্জি বাড়ির সম্পর্কের ইকুয়েশনগুলোকে কীভাবে নাড়িয়ে দেবে তা দেখবার বিষয়, অন্যদিকে মেয়ের সঙ্গে জেঠাইয়ের সম্পর্ক জুড়তে গুনগুন কী ভূমিকায় নেবে সেই দিকেও তাকিয়ে দর্শক।