হাতে আর তো কয়েকটা দিন। তারপরই শুরু হবে বাঙালির নতুন বছর। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে ১৪ এপ্রিল, ২০২৪-এ শুরু হচ্ছে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। অর্থাৎ সামনের রবিবারই বাঙালির ১লা বৈশাখ। আর এই নববর্ষের সঙ্গে বহু বাঙালিরই নানান স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই ছোটবেলারই কিছু স্মৃতি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ইমন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘নববর্ষ আসা মানেই শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।’
সম্প্রতি নতুন বছরের জন্য ক্যালকাটা টাইমস-এর সঙ্গে কিছুটা হটকে লুকে ফটোশ্যুটও করেন ইমন। সেখানে তাঁকে খানিকটা ধোতি স্টাইলে লাল রঙের শাড়ি আর স্টিলেটো জুতো পরে বাইক চালাতে দেখা যায়। গায়িকার কথায়, ‘এই প্রথমবার আমি শাড়ি পরে বাইক চালালাম, তাও আবার স্টিলেটো পরে।’
ই-টাইমসকে ইমনের বলেন, ‘আমার কাছে পয়লা বৈশাখ মানে ইতিবাচকতা, নতুন জামা, ভালো খাবার, সীমাহীন আড্ডা আর ভালো গান। নববর্ষের দিনে ছোলার ডাল আর লুচি প্রাতঃরাশের (ব্রেকফাস্ট) জন্য আবশ্যক। আর দুপুরের খাবারে থাকবে মংস-ভাত। আর মিষ্টি তো এই ভোজের অবিচ্ছেদ্য অংশ!’
আরও পড়ুন-‘নারীবাদ-এ বিশ্বাস নেই, পুরুষরা উপর্জন করলে, মহিলারা ঘর সামলালে ক্ষতি কী!’ বলছেন নোরা?
নববর্ষে ইমনের থেকে অনুরাগীরা কী পাবেন? সেপ্রশ্ন ইমন বলেন, 'নতুন বছরে মানুষ যাতে নতুন ইমন দেখতে পায় সেজন্য আমি নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করছি'। পয়লা বৈশাখের দিন কী করছেন? একথায় ইমন জানান, ‘ওইদিন আমার গানের অনুষ্ঠান আছে। শ্রোতারা ওইদিন আমার মিউজিক্যাল ব্র্যান্ডটি নতুনভাবে দেখতে পাবেন।’
ইমন জানান, ‘পয়লা বৈশাখে আমি আমার বাড়ির লোকজনের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনতে পছন্দ করি। আর চৈত্রসেলের সময় গড়িয়াহাটে কেনাকাটা করতে আমার বেশ লাগে। এই সময়টা সবাই নতুন জিনিস কেনেন। সেটাও দেখতেও ভালোলাগে। আমি আমার বাবা এবং নীলাঞ্জনের (ইমনের স্বামী) জন্য কুর্তা কিনেছি। নীলাঞ্জন আমার জন্য একটা সুন্দর শাড়ি কিনেছে। ওটা যেটা আমি পয়লা বৈশাখের সকালে পরে বাড়িতে একটা ছোট পুজো করব। সন্ধ্যায় আমার কনসার্ট আছে। এই সময়টা আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে তুতো ভাইবোনের কথা। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন নতুন বছরের জন্য ম্যাচিং ফ্রক পরতাম। আমরাও মিষ্টি আর কোল্ড ড্রিঙ্কস খেয়ে সকাল শুরু হত।’
কথায় কথায় উঠে আসে কলকাতায় নতুন আন্ডারওয়াটার মেট্রোর প্রসঙ্গ। ইমন বলেন, আন্ডারওয়াটার মেট্রোটি আমার কাছে একটা দারুণ বিষয় কারণ, এই ট্রেন পরিষেবা হাওড়া ময়দান থেকে চালু হয়েছে আর আমি তো হাওড়ার মেয়ে। আমার বাবা এখনও লিলুয়াতেই থাকেন। আমি এই আন্ডারওয়াটার মেট্রোর পুরো প্রক্রিয়াটি দেখেছি, তাই এবার আমি ওই মেট্রোয় একবার চড়তে চাই।'