আরসালান আর আমিনিয়ার মতো ব্র্যান্ডকে কড়া টক্কর দেয় দাদা বউদি বিরিয়ানি। বাঙালির হাতে যেভাবে একটি বিরিয়ানির দোকান বিখ্যাত হয়েছে, তা এখন সর্বজন স্বীকৃত। তবে অনেকেই আজকাল সমালোচনা করছেন এই বিরিয়ানির দোকানটির। আর সেরকমই করতে দেখা গেল এক ফুড ভ্লগারকে ঋত্বিক অধিকারির পডকাস্টে।
সেই ভ্লগার জানালেন, সোদপুরের বিরিয়ানির দোকানের স্বাদ নাকি মোটেও ব্যারাকপুরের দোকানের মতো নয়। পরিমাণে কম। স্বাদেও খারাপ। তাঁর দাবি, ‘দাদা বউদি কখনও কাউকে টাকা ছাড়া খেতে দেয় না। আমরা গেলাম খেতে। চালটা পরিমাণে খুব কম। একটা বিরিয়ানির দাম ৩৫০ টাকা। লোক তো আশা রাখবে এটা খেয়ে পেট ভরবে। মটনটা দুর্দান্ত। কোনও কথা হবে না। তবে চালের স্বাদ যেমন কম, তেমন গুণমানও। ব্যারাকপুরের দাদা বউদির মতো নয়’।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন, কী হয়েছে বিগ বি-র?
তবে এই ভিডিয়ো-য় সেই ভ্লগারের মন্তব্যের সঙ্গে সহমত নয় নেট-নাগরিকদের বড় একটা অংশ। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘শ্রাদ্ধ বাড়ির খাওয়ার vlog করা লোক সাধারণ জ্ঞান শেখাচ্ছে। wow impressive।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘এই লোকটাকে দেখলাম না কোনও রেস্তোরাঁর প্রশংসা করতে। একেই সেই নন্দিনী খেতে না দিয়ে ভাগিয়ে দিয়েছিল না!’
আরও পড়ুন: ‘আমার খারাপ লাগছিল, এটা অন্যায়’! রাগ দেখিয়ে বারবার সমালোচিত, কী কষ্ট দেয় জয়া বচ্চনকে
তবে কেউ কেউ আবার সহমত পোষণ করলেন। তাঁদেরও দাবি দিন দিন মান কমছে দাদা বউদির বিরিয়ানির। একজন কমেন্ট করলেন, ‘একটা ঢাউস মাংস আর একটা ঢাউস আলু সেদ্ধ দিলেই আর কেজিখানেক মাংসের ঝোল মাখানো ভাতকে যদি বিরিয়ানি বলা হয়, তবে তাদের অকাত অনুযায়ী দাদা বৌদিই পৃথিবীর সেরা বিরিয়ানি। বিরিয়ানি জিনিসটা আসলে কেমন হয়, সেটা বেশিরভাগ ফুড ব্লগার জানেন না।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘মোস্ট ওভারহাইপড। আতর জল, গোলাপ জলে ভরা। থার্ড ক্লাস। সোদপুরের কথা বলছি। আউধ তার চেয়ে অনেক ভালো আর স্বাস্থ্যকর।’
আরও পড়ুন: গোলাপি বেনারসিতে হাসিমাখা মুখ! বিয়ের ছবি দিলেন প্রশ্মিতা, কী প্রতিক্রিয়া অনুপমের
প্রসঙ্গত, এই ইউটিউবারের চ্যানেলটির নাম ফুডি গ্রেট। মূলত ডালহৌসিতে ভাতের দোকান চালানো নন্দিনীর সঙ্গে ঝামেলা থেকেই এসেছিলেন তিনি প্রচারের আলোতে। সঙ্গে শ্রাদ্ধ বাড়ির ভ্লগ করাতেও শুনতে হয়েছিল গালাগালি। তবে কথাতেই তো আছে, নেতিবাচক প্রচারও দিয়ে যায় প্রচার। বর্তমানে এই ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ার্স সংখ্যা ৩৬ হাজারের কাছাকাছি।