বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > Weekend Trip: জানুয়ারিতে পর পর তিন দিন ছুটি! রইল পাহাড়-ঝরনা-সমুদ্র মিলিয়ে ৪ অজানা জায়গার খোঁজ
Weekend Trip: জানুয়ারিতে পর পর তিন দিন ছুটি! রইল পাহাড়-ঝরনা-সমুদ্র মিলিয়ে ৪ অজানা জায়গার খোঁজ Updated: 03 Jan 2023, 06:15 PM IST Tulika Samadder ছুটি ছুটি করছে মনটা যখন ঘুরেই আসুন। এমনিতে শীতে ঘুরতে না গেলে গোটা বছরটাই কেমন যেন নুন ছাড়া খাবারের মতো বেস্বাদ লাগে। দেখুন ৩ দিনে কোথা থেকে ঘুরে আসা সম্ভব। 1/5 মনটা উড়ু উড়ু করলেও, ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ মেলে খুব কমই। এর পিছনে একটা বড় কারণ নিসন্দেহে ছুটির অভাব। কারও বা বাচ্চার স্কুল-টিউশন। তাই যখন পড়ে পাওয়া চার আনার মতো ক্যালেন্ডারে তিনটে লাল দাগ পরপর আসে, তখন মনটা কেমন উদাস তো হয়ই। চলুন এই ৩ দিন কলকাতা থেকে কাছে কম খরচে ঘুরে আলসার জায়গার সন্ধান দেই আপনাদের-- 2/5 নির্জন, নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতের পাশে ঝাউবনের জঙ্গলে থাকা, সারি সারি লাল কাঁকড়া দেখা, জোয়ারের সময় সমুদ্র স্নান করার মজা নিতে ঘুরে আসুন ডুবলাগড়ি সমুদ্র সৈকত থেকে। থাকার জন্য রয়েছে টেন্ট আর ছোট ছোট কটেজের ব্যবস্থা। কাছেই বাগদা বিচ। হাওড়া থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে বালাসোর স্টেশনে নেমে গাড়ি বা অটো ভাড়া করে এখানে আসতে হয়। বাগদা বিচেও রয়েছে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। 3/5 পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাষায় অবর্ণনীয়। প্রতি শীত আর বর্ষায় এখানে নামে ভ্রমণার্থীদের ঢল। হাতে দু দিন সময় থাকলে চলে যেতে পারেন বড়ন্তি লেকে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার এক অনবদ্য ঠিকানা। পলাশের সময় এখানে চারদিকটা রেঙে ওঠে আগুন রঙে। শীতে লেকের জলে থাকে পরিযায়ী পাখিরা। বড়ন্তির এক দিকে রয়েছে বিহারিনাথ পাহাড় আর অন্যদিকে পাঞ্চেত ড্যাম। কাছেই রয়েছে গড়পঞ্চকোট আর জয়চণ্ডী পাহাড়। এখান থেকে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন কল্যাণেশ্বরী মন্দির, মাইথন। আদ্রা জংশন বা আসানসোল থেকে চলে যান বড়ন্তি। 4/5 ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত গোপালপুর বিচ। পুরী থেকে দূরত্ব ১৭১ কিলোমিটার। গোপালপুর স্টেশনে নেমেও যেতে পারেন। পুরীর মতো ভিড় এখানে নেই। হোটেলের দামও পুরীর তুলনায় একটু বেশি। তবে নির্জনে সময় কাটানোর সেরা ঠিকানা। বিচটাও খুব পরিষ্কার। আর এখানে সমুদ্র পুরীর মতোই নীল, তবে জল আরও স্বচ্ছ। গোপালপুর থেকে ঘুরে নিতে চিলকার প্রবেশদ্বার রম্ভাও। 5/5 দুই যমজ ভাই যেন কিরিবুরু ও মেঘাহাটুবুরু। ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূমের এই জায়গায় প্রকৃতি যেন তার জানপ্রাণ ঢেলে দিয়েছে। ‘কিরি’ শব্দের অর্থ হাতি। এখানে বন্যপ্রাণেরও দেখা মেলে। আর ‘মেঘাটু’ শব্দটি মেঘ থেকে নেওয়া। মানে এই পাহাড়ে মেঘের আনাগোনা। মেঘাটুবুরু থেকে অসাধারণ সূর্যাস্ত দেখা যায়। পায়ে পায়ে দেখে নিন পাচেরি ঝরনা, সারান্ডার জঙ্গল, ফুলবাড়ি জঙ্গল, মুরগা মহাদেব মন্দির, জটেশ্বর ঝরনা ও মন্দির। সকালে হাওড়া থেকে জনশতাব্দি ধরলে দুপুর একটা নাগাদ নামবেন বারবিলে। সেখানে কোনও হোটেল নিযে দুদিন থাকলেই সবটা ঘুরে ফেলা সম্ভব।