এখন বলা হয় ত্রিশ যেন নতুন বিশ! তাই ত্রিশের কোঠা পৌঁছানোর আগেই বেশ কিছু জিনিস আমাদের শিখে ফেলা উচিত। মূলত আর্থিক দিক থেকে দেখতে গেলে। ভাবছেন সেগুলো কী? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
জীবনে বেশ কিছু জিনিসের প্ল্যান আগে থেকে করা রাখা উচিত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। কীভাবে কখন কোথায় কতটা বিনিয়োগ করবেন, কীভাবে খরচ পরিকল্পনা করবেন, কোথায় কত খরচ করবেন, ইত্যাদি আগে থেকেই ঠিক করে নিন। আয় বুঝে ব্যয় করা সব সময় একটি বুদ্ধিমানের কাজ, তার সঙ্গে সামান্য কিছু হলেও সঞ্চয় করা জরুরি।
আর বর্তমান সময় উচ্চশিক্ষার জন্য অনেককেই লোন নিতে হয়। ফলে কর্মজীবন শুরুর আগেই মাথার উপর একটা বড়সড় ঋণের বোঝা চেপে যায়। তাই টলমল পায়ে চাকরি জীবন শুরুর সময় থেকেই সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে রাখা জরুরি যাতে পরে সমস্যায় না পড়তে হয়। অনেক সময় চাপ লাগতে পারে, মনে হতে পারে কী করছি, কেন করছি, বন্ধুরা এত উন্নতি করছি আমার কেন হচ্ছে না, ইত্যাদি। কিন্তু এসব ভাবনাকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং সঠিক পরিকল্পনা করুন। দেখে নিন বয় ত্রিশ ছোঁয়ার আগেই কোন জিনিস মাথায় রাখতে হবে, কীভাবে খরচ এবং সঞ্চয়ের পরিকল্পনা করবেন।
১. এক জায়গায় বিনিয়োগ করবেন না। এক জায়গায় বিনিয়োগ করলে পরে সমস্যা হলে অনেক বড় ধাক্কা একসঙ্গে লাগতে পারে। তাই একাধিক জিনিসে অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করে রাখবেন। ধরা যাক আপনার বাড়ি আর গাড়ি কেনার পরিকল্পনা আছে। এবার চাকরি শুরুর সময় থেকেই এই দুটো খাতে আলাদা আলাদা জায়গায় সঞ্চয় শুরু করুন। এবং যাই হয়ে যাক না কেন এই সঞ্চয়ে হাত দেবেন না। এছাড়া নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য রাখুন। যে এই বছরের মধ্যে এই জিনিসগুলো করব। সেটাকে পাখির চোখ করে সঞ্চয় করতে থাকুন। এছাড়া শেয়ার মার্কেট কিংবা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করতে পারেন কিন্তু বুঝে শুনে।
২. প্রাথমিক ভাবে ছোট ছোট ধাপ নেবেন। একবারে অনেকটা করে সঞ্চয় করতে যাবেন না, অনেক টাকা কিছুতে বিনিয়োগ করতে যাবেন না। অল্প অল্প করে করুন যাতে আপনার কাঁধে বেশি চাপ না পড়ে। নিজের খরচ, আয় সব দিকে কঠোর নজর রাখুন। এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
৩. প্রতি মাসে কত টাকা আয় করছেন আর কত ব্যয় করছেন তার দিকে কঠোর নজর দিন। বাজে বা অতিরিক্ত খরচ করে থাকলে সেটাকে বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
৪. আয় করার কিংবা সঞ্চয় করার নতুন নতুন সুযোগের দিকে খেয়াল রাখুন। এবং বুঝে শুনে তাতে বিনিয়োগ বা সঞ্চয় করুন।
৫. শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে পড়াশোনা করুন এবং প্রাথমিক ভাবে অল্প অল্প করে ট্রেড করা শুরু করুন।
৬. অতিরিক্ত আয় করার চেষ্টা করুন। অফিস এবং নির্দিষ্ট আয় তো আছেই , পাশাপাশি ফাঁকা সময়গুলোকে উৎপাদনমূলক কাজে ব্যয় করার চেষ্টা করুন। এতে যেমন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তেমনই আয় বাড়বে। আয় বাড়া মানে সঞ্চয় বাড়া।
৭. আয়, ব্যয়ের পর সঞ্চয়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ প্রতি মাসে সরিয়ে রাখুন অপদ বিপদের জন্য। জানবেন, অসুখ বা বিপদ বলে আসে না। তখন যাতে বিপদে না পড়তে হয় তাই আগে থেকেই অল্প অল্প করে একটা এমার্জেন্সি ফান্ড গড়ে তুলুন।
হিন্দুস্তান টাইমসের এই নিবন্ধে বর্ণিত সমস্ত কিছুর জন্য অথবা বিবৃত বিভিন্ন জিনিস, ইত্যাদির জন্য কোনও উপায়ে দায়বদ্ধ নয়। পরবর্তীতে পড়ার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে পছন্দের বিষয় এবং হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষে কোনও বা সমস্ত সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ বা প্রয়োগযোগ্য দাবি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য এটা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল।