দোল নাকি হোলি? বাঙালিরা বলেন, দোলযাত্রা। অবাঙালিরা বলেন, হোলি। বাঙালি হলে হোলি বলা যাবে না। বলতে হবে দোলই। অনেকেই এমন দাবি করেন। অনেকের মতেই হোলি যেহেতু বাঙালি উৎসব নয়, তাই ওই শব্দটি বাঙালিদের ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতি বছরই রঙের উৎসবের সময়ে নানা জায়গায় উঠে আসে এই বিতর্ক।
এবার সেই বিতর্ক এবং তা থেকে ঝগড়ার সৃষ্টি হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি Video-কে কেন্দ্র করে। ওই Video-য় দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রচুর মানুষ দোলে রং খেলছেন। সেই সময়ে নেপথ্যে বাজছে একটি গানও। সেটি একটি হিন্দি গান। তার সঙ্গে Video-টির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘Holi@Jadavpur University’। আর সেটি নিয়েই ঝগড়া সপ্তমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একদল দাবি করেছেন, এই ‘হোলি’ লেখাটি মোটেই ঠিক হয়নি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বাংলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাই এখানে বাংলা শব্দ ‘দোল’ই ব্যবহার করা উচিত।
এক ব্যক্তি যেমন লিখেছেন, ‘দোল বলতে শিখুন। বাংলা গান বাজাতে শিখুন। ইচ্ছাকৃতভাবে গুলিয়ে ফেলবেন না।’ তেমনই আর এখজন লিখেছেন, ‘শুভ দোলযাত্রা। হোলি না। নিজের সংস্কৃতিকে নিয়ে চলুন।’
কিন্তু এর পাশাপাশি কেউ আবার বাংলাতেই লিখেছেন, তাঁরা এর মধ্যে কোনও ভুল পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছেন না। ভাষার সাম্প্রদায়িকতায় তাঁরা বিশ্বাসী নন, এমন কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। সব মিলিয়ে রীতিমতো ঝগড়ার পরিবেশ সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যদিও Video-টি বৃহস্পতিবার রাতে পোস্ট করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে। কিন্তু এটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের Official ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নয়। এমনকী ভিডিয়োটি এবারের দোলের নাকি পুরনো দোলযাত্রার— তার কোনও উল্লেখও নেই।
দোল-হোলি বিতর্ক ছাড়াও এই ভিডিয়োটি আরও একি কারণে ঝগড়া উস্কে দিয়েছে। এই ভিডিয়োটিতে বাজানো হচ্ছে হিন্দি গান। তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এমন একটি উৎসবের দিনে হিন্দি গান বাজানো, বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। এরও আবার বিরুদ্ধ মত রয়েছে।