ডিসেম্বর মানেই শীতের ছুটি, ঝোলা গুড়, রোদ পোহাতে পোহাতে গল্পের বই এবং অবশ্যই কেক। বড়দিন, আর কেক খাব না হয়? যিশু পুজোর ওটাই তো প্রসাদ! আর তাই তো বড়দিনের শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কেক কার্নিভাল। আর আয়োজক ছিলেন কেয়া শেঠ।
২১ ডিসেম্বর কেয়া শেঠ অদ্বিতীয়া কেক কার্নিভাল ২০২২ অনুষ্ঠিত হল। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর কেক কার্নিভালের আয়োজন করলেন কেয়া শেঠ। এদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ৭০ জনের বেশি প্রতিযোগী। ছিল এলাহী ব্যবস্থা। খোলা ছাদে রোদ পোহাতে পোহাতে কেক বানানোর মজাই যে আলাদা!
আর কেয়া শেঠের এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে খড়দহ থেকে রাজারহাট, হাওড়া থেকে টালিগঞ্জ সব জায়গা থেকেই প্রতিযোগীরা এসেছিলেন। বানালেন বিভিন্ন ধরনের কেক। কারও টেবিলে তৈরি হল রসমালাই কেক, কেউ বানালেন ব্রাইডাল কেক। কেউ বানালেন ফ্রুট কেক, কেউ আবার ফলের বদলে ফুল দিয়ে, হ্যাঁ আসল ফুল দিয়েই বানালেন কেক। কেউ আবার শিশুদের জন্য তৈরি করলেন কার্টুন কেক।
তবে কেয়া শেঠ অদ্বিতীয়া কেক কার্নিভালের এই উদ্যোগ দুই কারণে বিশেষ ছিল এবার। প্রথমত, যাঁরা কেক বানানোটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান তাঁদের উৎসাহ দেওয়া, পরিচিতি দেওয়া। এবং তার সঙ্গে, এই যে এদিন এত কেক তৈরি হল সেগুলো সব পৌঁছে দেওয়া হবে পথশিশুদের কাছে। সঙ্গে কিছু কেক যাবে বিভিন্ন অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রমেও। এই উৎসবে যাতে সকলেই সমান আনন্দে মেতে ওঠেন তার জন্যই এই উদ্যোগ।
কিন্তু কবে এই কেক পৌঁছে দেওয়া হবে? কেয়া শেঠ জানালেন, 'আজ থেকেই। আজ রাতেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় কেক পৌঁছে দেব। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় হয়তো বেশি জায়গায় যেতে পারব না। তাই কাল বাকি কেক পৌঁছে দেওয়া হবে।' কিন্তু বড়দিনের আগেই কেক পৌঁছে যাবে? এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'অতদিন কেক রাখা যাবে না। আর তাছাড়া যেদিন সবাই আনন্দ করবে সেই দিনটাই তো বড়দিন। সবার ভালো থাকাটাই আসল।'
কিন্তু হঠাৎ ফ্যাশন, রূপচর্চার পাশাপাশি কেক কার্নিভাল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে, তিনি বলেন, 'যে কোনও ক্রিয়েটিভ জিনিসই আমার পছন্দের। আমি উৎসাহ দিতে ভালোবাসি। সেটা মেকআপ হোক বা কেক বানানো।'
তাঁর এই উদ্যোগে বিশেষ অতিথি হিসেবে অলকানন্দা রায় সহ আরও একাধিক বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।