ওমিক্রন সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ওমিক্রন আর হচ্ছে না। একবার সেরে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ওমিক্রন হচ্ছে। এমনকী টিকা নেওয়ার পরেও পুরোদস্তুর ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। এর মধ্যেই এখন আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে ওমিক্রন BA.2। ওমিক্রনের এই নতুন রূপটি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সচেতন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র বিজ্ঞানীরা।
ভারতেও ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের নতুন রূপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যত মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মধ্যে ৮০ শতাংশই আক্রান্ত হচ্ছেন নতুন ওমিক্রনে বা ওমিক্রন BA.2-তে। এর আগে ওমিক্রনে সংক্রমিত হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ওমিক্রন BA.2-তে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
তাহলে কী করে বুঝবেন, আঘের ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন নাকি ওমিক্রন BA.2-তে?
এর উত্তর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কোভিড বিশেষজ্ঞ টিম স্পেকটর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওমিক্রন করোনার আগের রূপগুলির তুলনায় অন্য ভাবে কাজ করছে। করোনার আগের রূপগুলি বেশি মাত্রায় সংক্রমণ ঘটিয়েছিল ফুসফুসে। কিন্তু ওমিক্রন অনেক বেশি সংক্রমণ ঘটিয়েছে গলায়। তার থেকেই নিজের চরিত্র বদলেছে ওমিক্রন BA.2।
কী করে বোঝা যাবে, ওমিক্রন BA.2-র সংক্রমণ হয়েছে কি না? বিশেষ কয়েকটি উপসর্গের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায় ওমিক্রন BA.2 বেশি মাত্রায় প্রভাব ফেলে পেটে। তাই এর উপসর্গগুলির ধরন অন্য রকম। দেখে নেওয়া যাক সেই উপসর্গগুলি কী কী:
- বমি বমি ভাব, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট
- পেটের গণ্ডগোল
- বমি
- পেটব্যথা
- বুক এবং পেটের মাঝখানে ব্যথা, যাকে বলে Heartburn
- শরীর (বিশেষ করে পেট) ভারী লাগা
ওমিক্রনের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা যতটা হয়েছে, ওমিক্রন BA.2-র ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে। ওমিক্রনে ক্লান্তি এবং কাশির মাত্রা বেশি হচ্ছিল। ওমিক্রন BA.2-র ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলি ততটাও হচ্ছে না।