৬৬ বছরের ক্লাইভ জোনস। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তানের বাবা। অন্তত তাঁর নিজের দাবি তেমনই। ইতিমধ্যেই তাঁর শুক্রাণুতে জন্ম হয়েছে ১২৯ জন সন্তানের। আসছে আরও ৯ জন।
কীভাবে এই কাণ্ড ঘটালেন ডার্বির এই প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক?
যত দূর জানা গিয়েছে, অল্প বয়স থেকেই শুক্রাণু দান করা শুরু করেন তিনি। তাঁর শুক্রাণুর Fertility বা উর্বরতার হার রীতিমতো বেশি ছিল। ফলে তাঁর চাহিদাও বাড়তে থাকে। কিন্তু এর পরে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বয়স। ইংল্যান্ডে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৪৫ বছরের পরে আর কেই স্পার্ম দিতে পারবেন না। তাই বন্ধ হয়ে যায় ক্লাইভের শুক্রাণু দান।
কিন্তু তাতেও থেমে থাকেননি তিনি। এর পরে ক্লিনিকের মাধ্যমে স্পার্ম দেওয়া বন্ধ করে তিনি নিজের উদ্যোগে ব্যক্তিগতভাবে শুরু করে দেন শুক্রাণু বিতরণ। নিজের ভ্যানেই তিনি এই ঘটনাটি ঘটাতে থাকেন। আর তাতেই তাঁর দাবি, সন্তানের সংখ্যা ১২৯ ছাড়িয়ে গিয়েছে এসব করে। আরও ৯ সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবা হতে চলেছেন তিনি। জুটেছে World's Most Prolific Sperm Donor-এর তকমাও।
এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু তাঁর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এভাবে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর থেকে শুক্রাণু নেওয়াটা মোটেই স্বাস্থ্যকর কাজ নয়। বরং ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেখান থেকেই নেওয়া উচিত।
যদিও এতে থামিয়ে রাখা যাচ্ছে না ক্লাইভ এবং তাঁর শুক্রাণুপ্রার্থীদের। রমরমিয়ে চলছে বিতরণের কাজ। থামার কোনও লক্ষণ নেই তাঁদের মধ্যে।