আজ থেকে শুরু করলে দশমীর আগেই কিন্তু একটু হলেও রোগা দেখাবে আপনাকে।
1/5 এর আগে যারা ওজন কমিয়েছেন তাঁরা জানেন ডায়েট আর এক্সেরসাইজ শুরু করলে ঝটঝট করে ২-৩ কেজি ওজন কমে যায়। এটাকে কেতাবি ভাষায় বলা হয়ে থাকে ওয়াটার ওয়েট। সাধারণত লাইফস্টাইলেন কারণে আমাদের শরীরে ব্লোটিং হয়, অর্থাৎ তা ফুলে যায়। মনে রাখবেন আমাদের ওজনের ৫০-৬০ শতাংশ ওজনই কিন্তু জলের। অতিরিক্ত জল যদি দেহে জমা হয় সেটাকে ওয়াটার ওয়েটের মধ্যে ফেলা হয়। সাধারণত পেট, হাত আর পা-তেই এই ব্লোটিং বেশি হয়।
2/5 শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও বেশি করে জল খাওয়া ওয়াটার ওয়েট কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। যখন শরীর শুষ্ক থাকে, তখন জল জমা হয় বেশি। আসলে তখন আমাদের শরীর অতিরিক্ত জল জমিয়ে রাখতে চায় সেই ঘাটতি মেটাতে। তাই দিনে ৮-১০ গ্লাস জল আপনাকে খেতেই হবে।
3/5 নুন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ সোডিয়াম শরীরে জল ধারণ করে। তাই প্রসেসড, প্যাকেজড খাবার বাদ দিন। খাবারে কম নুন দিন। কাচা নুন তো খাবেনই না। এমন খাবার খান যাতে পটাশিয়াম রয়েছে। কারণ পটাশিয়াম সোডিয়ামের প্রভাবকে কমায়। সবুজ শাকসবজি, কলা, অ্যাভোকাডো রাখুন ডায়েটে।
4/5 আপনার ডায়েটে অতিরিক্ত কার্ব থাকা মানেই জল জমা হবে বেশি। বেশি কার্ব খেলে এনার্জি যদি খরচ না হয় তাহলে গ্লাইকোজেন মলিকিউল হিসেবে শরীরে জমা হয়। আর গ্লাইকোজেন মলিকিউলের ১ গ্রাম ৩ গ্রাম জলকে জমা করে। তাই কার্ব কম খাওয়া ভীষণ জরুরি। বিশেষ করে সিম্পল কার্বস। এর চেয়ে ডাল, ফল-সবজি খান। কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন কোনও খাবার, সেটা আসলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
5/5 আপনি যখন এক্সারসাইজ করেন, তখন আপনার শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল বের হয়ে যায়। সঙ্গে শরীরচর্চা রক্তচলাচলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে মাসিক অর্থাৎ পিরিয়ডসের আগে কিন্তু ব্লোটিং বেড়ে যায়। এটা খুব সাধারণ ব্যাপার। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও ব্লোটিং হয়।