ওষুধ না থাকায় মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি হাসপাতালে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন সদ্যোজাত। পরে রাতে আরও ৭জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার শিন্ডে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনার তদন্তে সোমবার একটি কমিটি গড়া হয়। সেই তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার তাদের রিপোর্ট দেবে।
মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলার শঙ্কররাও চভন হাসপাতালে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতলের ডিন চিকিৎসক ওয়াকোড়ে বলেন, ‘২৪ঘণ্টায় মধ্যে ৬ জন পুরুষ-মহিলা-শিশু মারা গিয়েছে। এছাড়া ১২ জন সাপে কামড়, ফসফরাস বিষ ইত্যাদির কারণে মারা গিয়েছে।’ ৬০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
তিনি নিজেই হাসপাতালের দুরাবস্থার কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। ৭০-৮০ কিলোমিটারের মধ্যে হাসপাতাল না থাকায় আমরা বিভিন্ন জটিল এবং জরুরি কেস পাই। এছাড়া একাধিক কর্মীর স্থানান্তরের কারণে আমাদের হাসপাতালে কর্মীর সংখ্যাও বেশ কম।’
হাসপতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ছিল না তাও স্বীকার করে নিয়েছেন ডিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাফকিন ইনস্টিটিউট থেকে ওষুধ কেনার কথা ছিল তাও হয়নি।’
এই ঘটনার পর সোমবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তিন সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়। তাঁরা আজ মঙ্গল বার দুপুরে তদন্তের রিপোর্ট দেবেন। স্বাস্থ্যশিক্ষামন্ত্রী হাসান মুশরিফ বিকেল ৪টায় এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, কেন এমন ঘটনা হল তার বিস্তারিত তথ্য চয়েছেন। এই ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে।
যদিও বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয়। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান শরদ পাওয়ার ২৪ জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন যে এই ধরনের ঘটনা সরকারী ব্যবস্থার ব্যর্থতা আরও স্পষ্ট করে দিল। দুই মাস আগে থানেতে ঘটে যাওয়া একই ঘটনার কথা উল্লেখ করে পাওয়ার এক্স-এ পোস্ট করেছেন, ‘...এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় এবং নিরীহ রোগীদের জীবন বাঁচানো যায় তা রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।’
কংগ্রেস নান্দেরের এই ঘটনার জন্য মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের নিন্দা করেছে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজেপি সরকার প্রচারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কিন্তু ওষুধ কেনার জন্য একটি টাকাও খরচ করে না। ’