গাজা শহরের একটা হাসপাতালে ইজরায়েলি হানা। সেই হামলায় কয়েক শ মানুষ মারা গিয়েছেন বলে খবর। সেখানে মূলত জখম প্যালেস্তানীয়দের চিকিৎসা চলছে। সেখানেই হামলা চালায় ইজরায়েল। তাতে অন্তত ৫০০ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০০৮ সালের পরে এত বড় বিমান হানা আর করেনি ইজরায়েল। তবে ইজরায়েল এখনও পর্যন্ত ঘটনা নিশ্চিত করেনি।
সেই বিমান হানার কিছু ছবি সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে আল আহলি হাসপাতাল থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। চারদিকে কাঁচ ছড়িয়ে রয়েছে। দেহাংশ ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৫০০জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর এপি সূত্রে।
সেখানে বহু সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বলে খবর। এদিকে সূত্রের খবর গাজা শহরের বহু হাসপাতালে বর্তমানে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। কারণ তাদের অনেকেই হয়তো ভাবছিলেন তারা হাসপাতালে থাকলে কিছুটা হলেও নিরাপদে থাকবেন। তাদের বের করে দেওয়া হবে না। তবে এবার সেই হাসপাতালেও বিমান হানা।
ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার এডিএম ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, হাসপাতালে মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। বিস্তারিত পেলে তা আমরা জানিয়ে দেব। এটা আদৌ ইজরায়েলের বিমান হানা কিনা সেটাই জানা নেই।
অন্যদিকে গাজাতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এক হামাস জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আমেরিকার তরফ থেকে বার বারই বলা হচ্ছে গাজাতে যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা যায় অর্থাৎ সাধারণ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায় সেটা দেখা হোক। কিন্তু তার মধ্যেই এই বিমান হানার খবর।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এপি জানাচ্ছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গাজা শহরের হাসপাতালে বিমান হানায় মৃত্যুর সংখ্য়া ৫০০তে পৌঁছে গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই ইজরায়েলের আঘাত হেনেছিল হামাস জঙ্গিরা। কয়েক হাজার রকেট ছোঁড়া হয়েছিল ইজরায়েল লক্ষ্য করে। এবার পালটা তার জবাব দেওয়া শুরু করল ইজরায়েল। এদিকে ইজরায়েলের ন্যাশানাল সিকিউরিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, অপহরণ করে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের ছাড়ার উপর সেখানে প্রয়োজনীয় সহায়তা ঢুকতে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে।