মেঘালয়ের রিংডি নদীতে যাত্রীবাহী বাস পড়ে কমপক্ষে ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সকলকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাসটি টুরা থেকে শিলং যাচ্ছিল। বাসটিতে ২১ জন যাত্রী ছিল। বুধবার গভীর রাতে বাসটি রিংডি নদীতে পড়ে যায়। মৃতদের মধ্যে দু'জনের দেহ বাসের মধ্যেই পাওয়া যায়। মৃতদের মধ্যে বাসের চালকও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, বাসের যাত্রীদের মধ্যে ন'জন টুরা এলাকার বাসিন্দা। বাকি ১২ জন উইলিয়াম নগরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটি খুব দ্রুতগতিতে আসছিল। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ব্রিজের পিলারে ধাক্কা মারে। এরপর বাসটি নদীতে পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাতেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যায়। পাশাপাশি উইলিয়াম নগর থেকেও দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, যেখানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পূর্বে গারো পাহাড় ও পশ্চিমে খাসি পাহাড় জেলার সীমানায় একটি ব্রিজে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই রুটে রাতে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। সম্প্রতি এই বাস চলাচল আবার শুরু হয়েছে। শিলং-সহ নানা জায়গা থেকে বাসগুলি যাতায়াত করে। দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশি নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই এই রুটে বাসের যাতায়াত নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।