লকডাউনে শুধু যে শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন তা নয়, তথাকথিত হোয়াইট কলার জব যারা করেন, তেমন ৬০ লাখ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি(সিএমআইই)-র সর্বশেষ রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে। শুধু মে থেকে অগস্টের তথ্য আছে এর মধ্যে। মার্চের শেষের দিকে করোনার জেরে ভারতে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
CMIE জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, শিক্ষক, অ্যাকাউন্টেন্ট পেশাদাররাও এই লকডাউনে চাকরি হারিয়েছেন। জুনে আনলক চালু হওয়ার পরেও অনেক বিধিনিষেধ ও স্থানীয় স্তরে লকডাউনের জেরে অর্থনীতির চাকা প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ায়নি।
সংস্থা জানিয়েছে জানুয়ারি-এপ্রিল ২০১৬-তে দেশে উচ্চপদস্থ চাকুরিজীবীর সংখ্যা ছিল ১.২৫ কোটি। সেটা মে-অগস্ট ২০১৯ সালে গিয়ে হয়েছিল ১.৮৮ কোটি। সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৯ এ এই সংখ্যাটি ছিল ১.৮৭ কোটি। এরপর জানুয়ারি-এপ্রিল মাসে এই পরিসংখ্যান কমে হয় ১.৮১ কোটি। করোনা লকডাউনের আংশিক প্রভাব এই তথ্যেও প্রতিফলিত হয়েছিল। কিন্তু মে-অগস্ট ২০২০ সালের জন্য হোয়াইট কলার চাকরি বিশিষ্ট কর্মীর সংখ্যা কমে হয়েছে ১.২২ কোটি। অর্থাৎ করোনার জেরে ৫৯ লক্ষ পেশাদার চাকরি হারিয়েছেন।
২০১৬-র পর এত কম সংখ্যক মানুষ পেশাদারি জগতে কর্মরত ছিলেন না। এই পরিসংখ্যানটি তাও শুধু যারা কোনও সংস্থায় চাকরি করতেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে। যারা সেল্ফ এম্পলয়েড পেশাদার ছিলেন, তাদের কী অবস্থা, সেটা প্রতিফলিত হয়নি এই রিপোর্টে। গত বছরের একই সময়কালের তুলনায় চাকরি কমেছে প্রায় ৬৬ লাখ, অর্থাৎ বেকারত্ব বেড়েছে ২৬ শতাংশ।