নাম না করে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন যে দেশটা এতদিন ধরে আতঙ্ক সরবরাহ করত তারাই এখন আটার জন্য হা হুতাশ করছে। কার্যত তীব্র খোঁচা দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশের দামোহতে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির উপর জোর দেন। তিনি জানিয়েছেন, যে দেশ আগে বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করত তারাই এখন উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন অস্ত্র রফতানি করছে বিদেশে। ফিলিপাইন্সে ব্রহ্মসের মতো অস্ত্রও রফতানি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের যে স্থান সেটাকেও গুরুত্ব দেন তিনি। একটি স্থিতিশীল সরকার তৈরির বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নানা চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন মোদী। তিনি এই প্রসঙ্গে জানান যে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্য়ে যাতে তেলের দাম থাকে ও কৃষকদের নাগালের মধ্য়ে যাতে সারের দাম থাকে সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, অনেক দেশ রয়েছে এই পৃথিবীতে যাদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে। অনেকে একেবারে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকী আমাদের এক প্রতিবেশী যারা একটা সময় আতঙ্ক সরবরাহ করত তারাই এখন আটা সরবরাহ করতেই হিমসিম খাচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কার্যত পাকিস্তানকে নিশানা করে তোপ দাগেন মোদী।
তবে পাকিস্তানে বার বারই জঙ্গি হানার নজির রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচিতে বিদেশি নাগরিকদের গাড়িতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
গাড়িতে থাকা পাঁচ বিদেশির সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের পাল্টা গুলিতে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ও দুই জঙ্গি নিহত হয়েছিল বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সরকারকে উৎখাত করতে এবং নিজস্ব কঠোর ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া সন্ত্রাসীরা গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের সবচেয়ে রক্তাক্ত হামলা চালিয়েছে, কখনও কখনও চিনাদের মতো বিদেশিদের লক্ষ্য করে।
এদিকে সম্প্রতি চিনের নাগরিকদের উপরেও হামলার ঘটনা হয়েছিল পাকিস্তানে।
পুলিশের মুখপাত্র আবরার হুসেন বালুচ বলেন, বেঁচে যাওয়া জাপানিদের পুলিশ হেফাজতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি।
করাচি পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে এটি একটি আত্মঘাতী হামলা। বিস্ফোরণে আরও একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।