জ্বালানির খরচের ভয়ে অনেকেই এখন ই-বাইক বা স্কুটির কথা ভাবছেন। আপনিও কি তাঁদের মধ্যে একজন? তবে সেক্ষেত্রে জেনে রাখুন Bounce-E Electric Scooter-এর কথা। বেঙ্গালুরুভিত্তিক সংস্থা Bounce ব্যাটারিচালিত যান নির্মাতা। তাদেরই ই-যানের সম্ভারে নবতম সংযোজন Bounce-E Electric Scooter।
ই-স্কুটার কেনার সময়ে সকলেরই একটাই প্রশ্ন, ফুল চার্জে কতটা চলবে? সংস্থার দাবি, নতুন Bounce-E Electric Scooter এক চার্জে চলবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার। শুধু তাই নয়, থাকছে ব্যাটারি সোয়াপ করার অপশনও। অর্থাৎ ধরুন আপনার শহরে বাউন্সের ব্যাটারি সোয়াপিংয়ের স্টেশন রয়েছে। আপনার স্কুটারের রেঞ্জ শেষের দিকে। কোনও চিন্তা নেই। অ্যাপে দেখে নিয়ে চলে যান নিকটবর্তী সোয়াপিং স্টেশনে। ব্যাটারির বদলে ফুল চার্জড একটি ব্যাটারি নিয়ে নিন।
এটা সম্ভব হচ্ছে কারণ কেনার সময়ে ব্যাটারিটা আপনি লিজে পাবেন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যাটারি খারাপ হওয়ার ভয়ও থাকছে না। তাছাড়া এতে দামটাও বেশ পকেটসই হচ্ছে।সাবস্ক্রিপশন ও রেন্টাল ভিত্তিতে নিতে পারবেন বাউন্স-ই ইলেকট্রিক স্কুটার। স্কুটারটি কিনতে খরচ মাত্র ৪৬,০০০ টাকা।
লুকসের দিক থেকে স্কুটারটি বাজারে অন্যান্য ই-স্কুটারের থেকে একটু আলাদা। সত্যি বলতে লুকস অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। তবে, এই ধরনের মিনিমালিস্ট লুকের ই-বাইক মার্কিন মুলুকে ইদানিং বেশ জনপ্রিয়। কেসি নাইস্ট্যাট বা মার্কাস ব্রাউনির মতো বড় মার্কিন ইউটিউবাররাও নিউ ইয়র্কের রাস্তায় এই ধরনের ডিজাইনের বিভিন্ন ই-স্কুটার চালান। তাই লুসকস আপেক্ষিক।
আপনার মূল যাতায়াত যদি শহরের মধ্যে হয়, তবে এই স্কুটারটা আদর্শ। বসার পজিশন আরামদায়ক। আকারে ১০০ সিসির মোটরসাইকেল বা স্কুটারের মতোই। থাকছে স্প্রিং লোডেড সাসপেনশন। ছোট হ্যান্ডেল বার। ভিড়, যানজট কাটাতে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে আপনি যদি একটু লম্বার দিকে হন, সেক্ষেত্রে হয় তো একটু সমস্যা হতেও পারে। আপাতত শুধুমাত্র বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদেই লঞ্চ হচ্ছে বাউন্স-ই ইলেকট্রিক স্কুটার। তবে সংস্থা জানিয়েছে, থুব শীঘ্রই দেশের অন্যান্য শহরে ব্যবসা ছড়ানোর পরিকল্পনা তাদের।